Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুখের ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম হলো একটি হাইপার সেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন যা সংক্রমণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইরাইথিমা বলতে চর্মের উপরিভাগ লালচে বা লাল বর্ণ ধারণ করা বুঝায়। ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম বিভিন্ন রকম দেখায়। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম। যদিও সব বয়সে এ রোগ হতে পারে তবে ২০-৪০ বৎসর বয়সের মানুষ বেশি আক্রন্ত হয়ে থাকেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয় হারপিস সিমপ্লেক্স টাইপ-১ ভাইরাস দ্বারা। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ছাড়া মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া ও ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া অনেক ভিন্ন ধরনের ভাইরাসও ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম এর ট্রিগার হতে পারে। সেগুলো হলো : (ক) প্যারাপক্স ভাইরাস। (খ) হারপিস ভ্যারিসিলা জসটার। (গ) এডেনো ভাইরাস। (ঘ) হেপাটাইটিস ভাইরাস। (ঙ) এইচআইভি ভাইরাস। (চ) সাইটোমেগালো ভাইরাস। টিনিয়া ফাঙ্গাল সংক্রমণ ও ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ওষুধও ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম সৃষ্টিতে ট্রিগার হিসাবে কাজ করে। ওষুধগুলো হলো- (ক) সালফোনেমাইডস্ (খ) ট্রাইমেথোপ্রিম (গ) বারবিচুরেটস্ (ঘ) ফেনোথিয়াজিনস্ (ঙ) পেনিসিলিন এবং এন্টিকনভালসেন্টস। ওরাল ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম এর ক্ষেত্রে মুখের আলসার এবং ইরোশন দেখা যায়। সংক্রমণ মুখের বৃহৎ স্থান নিয়ে হয়ে থাকে। ঠোঁটে সাধারণত বিøস্টার গঠন হয়ে থাকে। বিøস্টার দ্রæত ভেঙ্গে যায় এবং বড় অগভীর অসম আকৃতির আলসার দেখা যায় যা আবৃত থাকে সাদাটে সিউডো মেমব্রেন দ্বারা। ঠোঁট ফুলে যায় এবং রোগীর কথা বলতে ও খেতে সমস্যা হতে পারে। রোগীর শরীরে জ্বর দুর্বলতা এবং গ্রন্থি ফুলা দেখা যায়। যখন শুধু মুখে ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম হয়ে থাকে তখন প্রাথমিক অবস্থায় জিনজাইভো স্টোমাটাইটিস হয়ে থাকে। ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম মেজরের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক মিউকাস মেমব্রেন আক্রান্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে মুখের মিউকাস মেমব্রেন। ঠোঁট, গালের অভ্যন্তরে এবং জিহŸা ছাড়া মুখের ফ্লোর, তালু এবং মাড়ি আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র মিউকাস মেমব্রেনই আক্রান্ত স্থান হতে পারে যার মাধ্যমে মিউকোসাইটিস হয়ে থাকে। ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম বারবার হতে পারে। বছরে এক দু’বার নয় বরং অনেকেই বহু বৎসর এ রোগে আক্রান্ত থাকেন। অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা পান না বলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। তাই মুখের এসব রোগে দেরী না করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন