Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান বিচারপতি ফিরে এসে দায়িত্ব নিতে পারবেন -দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ২:২৪ পিএম | আপডেট : ৪:০৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছেন, ‘চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যখনই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন, তখনই নিতে পারবেন। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তিনি যদি কাল সকালে আবার দায়িত্ব নিতে চান আমার ধারণা, তাতে কোনও সমস্যা হবে না।’

সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপিল বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতি যেখানে তার সঙ্গে এক বেঞ্চে বসতে রাজি নন, সেখানে তার দায়িত্বে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তবে হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলী ভিন্ন সুরেই কথা বললেন। তিনি বোঝাতে চাইলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ প্রধান বিচারপতিকে তার পদ থেকে হটিয়ে দিয়েছে বিষয়টা আসলে এমন নয়।

হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন। আগে থেকেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছেন, কাজেই তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান। এজন্য লম্বা ছুটি প্রয়োজন। স্বভাবতই রাষ্ট্রপতি তা মঞ্জুরও করেছেন। এখন যদি তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন কিংবা পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও কাজে যোগ দিতে চান, তবে তিনি আবার কাজে যোগ দেবেন। এই তো ব্যাপার।’

তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান বিচারপতি নিজের অসুস্থতার কথা বলছিলেন। তবে হ্যাঁ, সরকারের সঙ্গে কোনও কোনও বিষয় নিয়ে সম্প্রতি তার সংঘাত হয়েছে, এটা সত্যি। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। কাল সকালে প্রধান বিচারপতি যদি ফিরে এসে আবার দায়িত্ব নিতে চান, আমি নিশ্চিত, আদালত তাকে আবার গ্রহণ করে নেবে। তিনি নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের জন্য ছুটির আবেদন করেছেন। ছুটি শেষে ফিরে তিনি যেকোনও সময়ই আবার যোগ দিতে পারেন।’

তবে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিতে যাওয়ার ঘটনাকে ভারতে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম যেভাবে ‘বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতির হেনস্তা’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, তার জবাব দিতেই রাষ্ট্রদূত এভাবে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘এই সমস্যার সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। ইনশাল্লাহ, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সমস্যা আমরা ঠিকই মিটিয়ে ফেলবো। কিন্তু বাংলাদেশে আসা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমস্যা কিভাবে মেটানো যায়, সেটাই আসলে এখন আমাদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।’



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ৮:২২ এএম says : 0
    সংবাদটা পাঠ করার পর আমি হতভম্ব হয়েগেলাম আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি দেখে। সিনহা একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক কিন্তু প্রথমে তিনি বাঙ্গালী বাংলাদেশের নাগরিক এটাই তার পরিচয়। বাংলাদেশে প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতি এভাবে যদি দেখা হয় তাহলে আমি মনে করি সেটা একটা গর্হিত কাজ। দেশবাসী এটা মানতে পারেনা কারন এভাবেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করা হয়। অন্য দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিনিধিত্ব করেন সেদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের হাইকমিশনার। সেই মোতাবেক হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম সাহেব যা বলেন সেটা তার দেশের রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কথা এটাই মানা হয়। মোয়াজ্জেম সাহেব এই সংবাদে যে সব কথা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা এটা মানতেই হবে। তাই আমার প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি কি এই কথা বলার জন্য মোয়াজ্জেম সাহেবকে অনুমতি দিয়েছেন??? যদি দিয়ে থাকেন তাহলে জাতিকে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দিতে হবে যেখানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতি সিনহা বাবুর সঙ্গে এক বেঞ্চে বসতে রাজি নন, সেখানে সিনহা বাবু কিভাবে ফিরে যাবেন??? বাংলাদেশের কূটনীতিবিদরা নিজেদেরকে এতই ক্ষমতাশালী ভাবেন যে, তারা দেশের আইন কানুনকে কোন রকম তোয়াক্কা করেন না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান বিচারপতি

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ