Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দু’বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি

বহুল আলোচিত প্রকাশক দীপন হত্যা মামলা

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বহুল আলোচিত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দু’বছরেও কোন কুল কিনারা হয়নি। জড়িতদের অনেকেই গ্রেফতার হলেও দীর্ঘ দু’বছরে মামলা তদন্ত শেষ করতে পারেনি তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট্র কর্মকর্তারা। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আরো আগেই আশা করেছিলেন তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
তবে দীপন হত্যা মামলায় আটক ৩জন কারাগারে রয়েছে এবং জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে ডিবি। দু’বছরে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ২২ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর আদালত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। পরে তা আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। নিহত ফয়সল আরেফিন দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে। এ ঘটনায় দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিরা শনাক্ত হলেও সবাইকে গ্রেফতার করতে না পারায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় লাগছে। তবে শিগগিরই এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা সম্ভব হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দীপন হত্যা মামলায় আরও বেশকিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। সেগুলো ছদ্ম নাম হলেও শনাক্ত করে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ জন্য কিছুটা সময় লাগছে। দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম থেকে ডিবির একজন কর্মকর্তা তাদের এ মামলার তদন্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এখন তেমন যোগাযোগ হয় না। সূত্র জানায়, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলো গতকাল মঙ্গলবার। ২০১৫ সালে ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে তিনি নির্মমভাবে খুন হন। হামলাকারীরা অজ্ঞাতনামা হলেও পরে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ নামে একটি জঙ্গী সংগঠন । খুনের কারণ হিসেবে মনে করা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত লেখক-বøগার অভিজিত রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’বইটি প্রকাশের জন্য দীপন জঙ্গিদের টার্গেটে পরিনত হন। একই দিনে কাছাকাছি সময়ে রাজধানীর লালমাটিয়ায় অভিজিৎ রায়ের আরেক প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’সহ কয়েকটি বই বের করেছে শুদ্ধস্বর। এর আগে বøগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যায় যে পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল এই দুটি হামলার ধরনও ছিল একই। ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মাঈনুল হাসান শামীম, আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুস সবুর ও খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আসামি শামীম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সবুরকেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত দু’বছরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ২২ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর আদালত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। পরে আদালত ২১ নভেম্বর নতুন তারিখ দিন ধার্য্য করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা মামলা

২৬ এপ্রিল, ২০২২
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ