Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জোর করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশীদের

পেট্রাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা হয়রানির শিকার
আন্তর্জাতিক বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে এ ধরনের বিধিনিষেধের কারণে বিপাকে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরাই। পাসপোর্ট যাত্রীদের অভিযোগের বরাত দিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর শরীফ এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশি ও ভারতীয যাত্রীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার থেকে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় এর অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কোন কারণ ছাড়াই বাঙলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীদেরও ফেরত পাঠাচ্ছেন। অথচ এ ব্যাপারে ভারতে কোনও সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
মাল্টিপল ভিসার ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রী সমির সরকার জানান, ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বলেছে, সপ্তাহে মাত্র একবার বাংলাদেশে যাওয়া যাবে। এর বেশি বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে না। আর যাদের মাল্টিপল ট্যুরিস্ট ভিসা আছে তারা মাসে দুইবার বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
বেনাপোলের পাসপোর্টযাত্রী আ: লতিফ জানান, আমিনুর রহমান জানান, তার পাসপোর্ট নম্বর ‘বিপি ০০২৮২৯০’। তিনি শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) সকালে বিজনেস ভিসায় পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ভারতে যান। সেখানকার পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের পাসপোর্টে ‘রিফিউজ’ সিল মেরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায। সব কাজকর্ম শেষ করে ভারতে যাওয়ার পর সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলেন, বিজনেস ভিসায সপ্তাহে মাত্র দুইবার আসা যাবে। এর বেশি আসা যাবে না। হঠাৎ করেই এমন শর্তের কারণে আমি ব্যবসায়ীক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
বেনাপোলের শহিদুল ইসলাম (বিপি-০২৭৬১৮৩) জানান, ৩ অক্টোবর বিকালে ভারতে গেলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার পাসপোর্টে এন্ট্রি রিফিউজ সিল মেরে বলে দেয় এক মাস পরে আসতে। কী কারণে তাকে ফেরত যেতে বলা হচ্ছে শহিদুল জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনও প্রশ্ন’র উওর দেব না।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ওমর শরীফ বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ কেউ করেনি। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কেন পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন কারন ছাড়াই ফেরত পাঠাচ্ছে তা বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে দুই দেশের হাইকমিশনার পর্যায়ে সমাধান করা উচিত। তবুও আমি আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমিগ্রেশন

৩০ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ