Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাবি নীল দলের একাংশের মানবন্ধন

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থিত নীল দলের সাধারণ সভায় শিক্ষকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পাল্টা মানববন্ধন আয়োজন করেছে নীল দলের আরেক অংশ। এতে নীল দলের প্রায় ৬০ জন শিক্ষক অংশ নেয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টিএসসির ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত নীল দলের সাধারণ সভায় এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে নীল দলের শিক্ষকদের মাঝে। এতে পাল্টাপাল্টি আহত হবার দাবি করেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও আরেক শিক্ষক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন হঠাৎ করে অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর উপর চড়াও হন এবং তাকে আঘাত করেন। বক্তারা মানববন্ধনে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও সুরাহার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট অনুরোধ ও জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, একটি মহল ঐদিনের ঘটনাকে ভিন্নভাবে সাংবাদিকদের নিকট উপস্থাপক করে গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নীল দলের সাবেক আহŸায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক সৈয়দ শামসুদ্দীন।
এ ছাড়াও মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, এ ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আজ আমরা শিক্ষক সমাজ একটি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে এখানে একত্রিত হয়েছি।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে নীল দলের সাবেক আহŸায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত। আমাদের মাঝে দ্বিমত থাকবে তবে শিক্ষার উন্নয়নে, মান সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, সেদিন নীল দলের সভায় একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। একটি দলে মতপার্থক্য থাকবেই। মতের পার্থক্য না হলে সেটি কোন দলই না। তবে তা উপস্থাপক করারও একটি প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সেদিন যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর যে আজ আমরা এখানে দাড়িয়েছি। সেদিনের ঘটনায় অধ্যাপক জামাল উদ্দিন যে মিথ্যাচার করেছেন তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি যদি আহত হয়ে থাকেন তাহলে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে উপাচার্যের কাছে কেন গেলেন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম বলেন, সেই দিন দুই জন অধ্যাপক ভিডিও ধারণ করেছিলেন তারা পরবর্তীতে এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছেন। আর নীল দলের আহŸায়ক ঘটনার মীমাংসা না করে উল্টো উসকানি দিচ্ছেন। একটি পক্ষ চায় এটিকে বর্তমান উপাচার্যের ব্যর্থতা হিসেবে উপস্থাপন করতে। এটি নীলদলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কোন বিষয় না।
এর আগে গতকাল নীল দলের আরেক অংশ মানববন্ধন করেছে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। এতে নীল দলের ২০ জন শিক্ষক অংশ নেয়। তারা দাবি করছে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথমে চড়াও হয়েছে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনের উপর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি নীল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ