Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শরণার্থী সমস্যার সমাধান করতে পারে শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০৫ পিএম | আপডেট : ১২:০৮ পিএম, ৮ নভেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া বিবৃতির প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি বলেছেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যে সমস্যা মোকাবিলা করছে তার একমাত্র সমাধান এই দু’দেশের হাতে। এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। তিনি যা বলতে চেয়েছেন তা হলো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে। এর ভিতরে অন্য কারো প্রবেশাধিকার নেই। কারণ, তিনি সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় দেখছেন দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে। তার ভাষায় নিরাপত্তা পরিষদের এই অবস্থান বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সোমবারের বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সরকার ও সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার ওপর জোর দেয়া হয়। জোরালো আহ্বান জানানো হয় সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের নৃশংসতা অবিলম্বে বন্ধের জন্য। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে চান তাদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও মর্যাদাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। ওই বিবৃতিতে রাখাইনে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মিয়ানমারের নেত্রী, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি। তিনি বলেন, এ সমস্যা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতি দু’দেশের মধ্যে চলমান সমঝোতা প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ দু’টি দেশের মধ্যে সমঝোতা প্রক্রিয়া মসৃণ ও প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, অং সান সুচি সরকারের মেয়াদ এখনও দু’বছর পুরো হয় নি। এ সময়ে কমপক্ষে দু’দফা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে। সেখানকার সঙ্কটের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। কিন্তু এবার ২৫ শে আগস্টের ঘটনার পর যেভাবে নৃশংসতা ছড়িয়ে পড়ে তাতে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আলোচনায় আসতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমার। এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী ১৬ ও ১৭ই নভেম্বর মিয়ানমার সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে। তবে এর একদিন আগে অর্থাৎ ১৫ই নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে মিয়ানমারের ওপর সামরিক নিষেধাজ্ঞার বিল এনেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সেখানে সফর করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণার্থী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ