Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেড়ে চলেছে বেশির ভাগ মুদ্রার দাম

প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নানা উদ্যোগ সত্তে¡ও সিংহভাগ মুদ্রার দাম বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থানীয় মুদ্রাকে নমনীয় করতে চেষ্টা চালালেও তা সফল হচ্ছে না। এদিকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে ডলারের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত জানার পর সম্প্রতি মার্কিন ডলার ইউরোর বিপরীতে ১ শতাংশ মূল্য খুইয়েছে। ডলার আবারো দশমিক ১ শতাংশের বেশি মূল্য হারিয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের দুর্বল অবস্থার কারণে বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকরা রফতানি বাড়াতে স্থানীয় মুদ্রাকে নমনীয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ডলারের বিপরীতে এসব মুদ্রার দাম বেড়ে চলেছে। জাপানের মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে গতকালও ডলারের ১ দশমিক ১ শতাংশ পতন ঘটেছে। বছরের শুরু থেকে ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) নেতিবাচক সুদহারের মাধ্যমে ইয়েনকে দমিয়ে রেখে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে চাইছে। কিন্তু এ সময়ে ইয়েনের দাম উল্টো ৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে ইয়েন এখন ডলারের বিপরীতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে। ইউরো ও অন্যান্য স্থানীয় মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিনির্ধারকরা একই রকম সমস্যায় আছেন। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এমন নিয়ন্ত্রণহীন গতিবিধিতে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট-পরবর্তী ব্যবস্থার কথা মনে হচ্ছে। তখন থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে যেভাবে দীর্ঘ সময় ধরে অভূতপূর্ব স্বল্প সুদহার বজায় রাখা হয়, তার ফলে বাজারে সৃষ্ট বিচ্যুতি এখন নীতিনির্ধারক ব্যাংকারদের ভোগাচ্ছে। গৃহীত নীতির সঙ্গে বাজারের এ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা অর্থবাজারে আরো অস্থিরতার কারণ হতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীরা যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গতিবিধি বুঝতেও পারেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া বোঝা তাদের সাধ্যের বাইরে থেকে যাবে। এতে উদীয়মান বাজার ও কমোডিটি-সংশ্লিষ্ট মুদ্রা, ইকুইটি ইত্যাদি তারা দ্রæত ছেড়ে আসতে চাইবেন। অর্থবাজারের এ প্রবণতায় দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিও হুমকিতে পড়ছে। কারণ প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও রফতানি বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা দুর্বল করতে সুদহার কমাচ্ছে। কিন্তু সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই কাজ করায় বাজারে এমন পদক্ষেপের কোনো প্রভাব পড়ছে না। আরবিএস সিকিউরিটিজের কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট ব্রায়ান ডেইঞ্জারফিল্ড বলেন, ‘অনেকে এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের নীতির সক্ষমতা পরীক্ষা করছে। যতবার আপনি থলে থেকে একটি করে যন্ত্র বের করবেন, ততবারই থলেটি খালি হতে থাকবে। যেসব মুদ্রার বাজারে লেনদেন কম, সেগুলো নিয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন। নরওয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার আবারো সুদের হার কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করেছে, যা রেকর্ড। ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, নেতিবাচক সুদহারও সামনে আসতে পারে। কিন্তু তার পরও নরওয়ের ক্রোনার ডলারের বিপরীতে ১ শতাংশের বেশি মূল্য যোগ করেছে। ইউরোর বিপরীতেও নরওয়েজীয় মুদ্রাটি চাঙ্গা হয়েছে। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ে ফেডারেল রিজার্ভের ব্যবস্থাগুলো তুলনামূলক ফলপ্রসূ হচ্ছে। গভর্নর জ্যানেট ইয়েলেন গত বুধবার সুদহার অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে প্রত্যাশামাফিক ডলারের দাম কমেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেড়ে চলেছে বেশির ভাগ মুদ্রার দাম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ