Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিএসসিসি’র বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ট্যাক্স বৃদ্ধির অভিযোগ

আমরা ধানমন্ডিবাসী’র সংবাদ সম্মেলনে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে একসাথে ১০ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন আমরা ধানমন্ডিবাসী নামের একটি সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, দেশ-বিদেশের কোথাও একইসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ গুণ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর রেকর্ড নেই। তাই ডিএসসিসি’র চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক, অস্বাভাবিক ও নজীরবিহীন হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মানবে না রাজধানীবাসী। হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতায়নের নামে বর্ধিত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় পর্যায়ক্রমে কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিএসসিসির অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা ধানমন্ডিবাসী নামের একটি সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ অযৌক্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ বন্ধের দাবি জানান ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে বর্ধিত এ ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের আহŸায়ক শওকত হোসেন পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতায়নের নামে বর্ধিত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কর অবিলম্বে বাতিল করা, ট্যাক্স বৃদ্ধির আগে নগরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করে আইন অনুযায়ী ট্যাক্স নির্ধারণ করা, ঢালাওভাবে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ না করা, নিয়মানুযায়ী পাঁচ বছর পরপর হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে হবে এবং প্রস্তাবিত ট্যাক্স যেন কারো জন্য বোঝা না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়া দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বক্তারা। ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো- আগামী ১৬ নভেম্বর সিটি মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ১৮ নভেম্বর মিরপুর রোডে মানববন্ধন এবং সবশেষে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ডিএসসিসিকে হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ রাখা। এরপরেও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান আমরা ধানমন্ডিবাসী’র আহŸায়ক শওকত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য জাহানারা বেগম, এমএ মতিন, গোলাম রব্বানি প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Ebtesam ২০ জুন, ২০২১, ১২:০৮ পিএম says : 0
    চট্টগ্রাম শহরের মানুষের প্রধান সমস্যা ঘরভাড়ার উপর ১৭% কর। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়েছে।কর্পোরেশনের মূলকাজ নালা-নর্দমার ময়লা পরিস্কার রাখা,সড়কবাতি জ্বালানো,মশা নিধন।কিন্তু এইকাজগুলি ভালভাবে না করে সিটি কর্পোরেশন স্কুল-কলেজ ,কম্পিউটার প্রশিক্ষণ,দাতব্য চিকিৎসা চালানোর দিকে বেশী মনোযোগী।অথচ এইকাজগুলি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ।আমরা সাধারণ জনগণ দাবী করছি এই কাজগুলি স্ব স্ব মন্ত্রণালের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নিজের কাজগুলি ভালভাবে করবে। আর জনগণের উপর আয়ের উপর কর না ধরে হোল্ডিং ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করবে।যেই সেবার চিন্তা করে সিটি কর্পোরেশনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো,সেই সেবার মানসিকতায় ফিরে আসতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএসসিসি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ