Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূতের সরকারের অধীনে নির্বাচন চান খালেদা -ইনু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে একটি ভূতের সরকার তথা অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে খালেদা জিয়া অস্বাভাবিক পথে হেঁটেছেন। এখনও তিনি সেই পথেই আছেন। উনি বদলাননি। সেজন্যই তিনি সমাবেশে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে, সংবিধানের অধীনে কোনো নির্বাচন করবেন না। তাই তিনি কখনও সহায়ক সরকার, কখনও নির্দলীয় সরকারের কথা বলছেন। উনি কার্যত দেশে একটি ভূতের সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছেন। প্রকারান্তরে একটি ভূতের সরকার প্রতিষ্ঠা তথা অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ, সহায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনের দাবি সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন তিনি।
জাসদ সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণার মানে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশকে সংঘর্ষের দিকে, অস্বাভাবিক পথে ঠেলে দেওয়ার একটা চক্রান্তের জাল বুনলেন। তিনি সংবিধানের অধীনে নির্বাচন চান না। কার্যত ভূতের সরকারই প্রতিষ্ঠা করতে চান। যা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বিদেশ থেকে ফিরে আদালতে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খালেদা জিয়া তার ভাষণে আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পোড়ানো, রাজাকারদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য জাতির কাছে মাফ চাইবেন। আশা করেছিলাম রাজনীতি থেকে জামায়াত ও জঙ্গি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। নির্বাচন নিয়ে আরো গঠনমূলক কথা বলবেন। তবে সে আশা পূরণ হয়নি। উনি জাতির কাছে মাফ চাননি এবং রাজাকার ও জঙ্গিদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেননি। খালেদা জিয়া উল্টো সামরিক বাহিনী, মানুষ পোড়ানো, টাকা পাচারকারী, জঙ্গি-সন্ত্রাস এবং ছেলে ও পরিবার পরিজনদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। সমাবেশ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের আভাস দিয়েছেন বলেও ইনু। তিনি বলেন, সমাবেশে তিনি সেনাবাহিনী সম্পর্কে কথা বলেছেন। অথচ অতীতে কোনো দিনই সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা ছিল না। আমি এর ভেতরেও একটি ষড়যন্ত্রের বিষয় লুকোনো দেখছি।
নির্বাচন নিয়ে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কি করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে যেভাবে অতীতে মোকাবিলা করেছি ঠিক একই পদ্ধতিতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইনু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ