Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চান টিলারসন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন নেপিদো সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল বুধবার তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের তরফ থেকে এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ও বলা হয়েছে। নেপিদোতে অনুষ্ঠিত টিলারসনের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বা সরকারপ্রধান অং সান সু চিও। তাকে নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইনে যা ঘটেছে তার চিত্র একেবারেই ভয়াবহ। যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে মিয়ানমার নেতৃত্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ টিলারসন এই বৈঠকের পর পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে। মূলত এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হ্লাইংই। তিনিই বরাবর ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলে আসছেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী বাঙালি। তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। টিলারসনের এই সফরের আগে রাখাইন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে কী কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। রাজধানী ন্যাপিদোতে পৌঁছার পর গতকাল বুধবার তিনি সোজা চলে যান সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইয়ের কাছে। উল্লেখ্য, ২৫ শে আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) চালানো হামলার জবাবে নৃশংস প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এ নিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। টিলারসনের মিয়ানমার সফরের আগে দুজন সিনেটর দেশটির সেনাবাহিনী ও তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের দাবি জানিয়েছেন। তার পর পরই টিলারসনের এই সফর। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ