হিমেল হাওয়া বৃষ্টিপাত গুমোট আবহাওয়া বন্দরে সঙ্কেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল (বুধবার) দেশের অধিকাংশ জায়গায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকে। সেই সাথে হিমেল হাওয়ার সাথে অধিকাংশ স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে অগ্রহায়ণের প্রথম দিনেই বিরাজ করে গুমোট আবহাওয়া। সমুদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় ১২ মিলিমিটার করে।
এছাড়া ঢাকায় ১ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায় ৩২ ও তেঁতুলিয়ায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.২ এবং ২৩.৮ ডিগ্রি সে.। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা এবং রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৫.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১শ’ ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১শ’ ৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১নং দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।