Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এনজিওর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের বে-সরকারি এনজিওগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নজরদারি আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সভায় শিল্প-কারখানাসহ সব পর্যায়ের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনার সময় কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন কেমন চলছে এবং এগুলোতে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করছে কিনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। সেসময় এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি। এক মন্ত্রী বলেন, সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা ভালো আছেন, তারা বেতনও ভালো পাচ্ছেন। এখন শুরুতেই শ্রমিকরা ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পান। এ সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভালো আছেন, এটা ঠিক। তবে তাদের বেতন-ভাতা আরেকটু বাড়ানো উচিত। কারণ সরকারি কর্মচারীদের বেতন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেটার সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। তাই তাদের বেতন আরও বাড়ানো উচিত। প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, যেহেতু নৌমন্ত্রী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তাই মজুরি কমিশন পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। কারণ বিদ্যমান শ্রম আইন অনুসারে পাঁচ বছর পরপর মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের বিধান আছে। কিন্তু সর্বশেষ মজুরি কমিশন গঠনের পর এখনও পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ সালে কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। ২০১৩ সালে মজুরি কমিশন করা হয়েছিল। পুনর্গঠনের পর কমিশন যদি বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে তখন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো যেতে পারে। মন্ত্রী বলেন, এ সময় প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে মন্ত্রীদের আলোচনা শুনছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। তিনি আরও জানতে চান, এখন বাইরে থেকে গিয়ে কেউ কারখানার ভেতরে ট্রেড ইউনিয়নের আন্দোলন করতে পারে কিনা বা করে কিনা?’ প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আর সেই সুযোগ নাই। কারণ, এখন কারখানার শ্রমিকরাই ট্রেড ইউনিয়ন করেন। আর এসব ট্রেড ইউনিয়নকে বিভিন্ন এনজিও পৃষ্ঠপোষকতা করে। তবে এনজিওগুলো কোথা থেকে ফান্ড নিয়ে আসে, তাদের কার্যক্রম কী, কোথায় সেই ফান্ড ব্যয় হয়- তা আমাদের মনিটর (নজরদারি) করা হয় না। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ,এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারি করা উচিত।



 

Show all comments
  • নিজাম ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৫ এএম says : 0
    শুধু এনজিও নয় সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রতি সরকারের নজর দেয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • তামিম ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Md: kamruzzaman khan ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২৯ এএম says : 0
    Garments soromicder beton brono uicht Thanks
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদ ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মত যদি বাকী মন্ত্রীরা কাজ করতো তাহলে দেশ অনেক দুর এগিয়ে যেতো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ