Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাকুর্তায় পানির খনি সংকট নিরসনের আশা রাজধানীবাসীর

| প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সেলিম আহমেদ, সাভার : শীঘ্রই রাজধানীবাসীর পানি সংকট নিরসন হতে যাচ্ছে। রাজধানীর সন্নিকটে সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নে পাওয়া গেছে পানির খনি। রাজধানীবাসির পানির চাহিদা মেটাতে আগামী মার্চেই খনি থেকে পানি উত্তোলন ও সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা।
ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড সোয়ারেজ অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো আমরা ভূগর্ভ পানি (খনি) থেকে পানি উত্তোলন করতে যাচ্ছি। হিমালয় থেকে একটি চ্যানেল হয়ে ভাকুর্তায় এসে পানি জমা হচ্ছে। গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে সেই পানি উত্তোলন করা হবে। পানি উত্তোলন করলেও সেখানে শূন্যতা সৃষ্টি হবে না। হিমালয়ের পানি চ্যানেল দিয়ে এসে সেই শূন্যতা ভরাট করবে। সেই লক্ষে আমাদের কার্যক্রম দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। তবে ভাকুর্তা ছাড়াও আমাদের কাছে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরে পানির খনির সন্ধান রয়েছে।
সাভারের তেঁতুলঝোড়া-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার নিরাপদ পানি সরবরাহ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীল মিরপুরস্থ মাজার রোড, মিরপুর ১, ২, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২, রূপনগর, পল্লবী, মিরপুর ডিওএইচএস, আহমেদনগর, উত্তর বিশিল, মনিপুর, সেনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পানির সংকট নিরসন হবে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বাসির নিরাপদ পানির চাহিদা পূরনের জন্য সাভারে তেঁতুলঝোড়া-ভাকুর্তা ওয়েল ফিল্ড নির্মানের জন্য ৭.৮১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রধান অঙ্গসমূহ নির্মাণ কাজ দ্রæততার সাথে চলছে।
প্রকল্পের পানির সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপনের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মার্চে প্রকল্পটির নির্মান কাজ শেষ হবে এবং প্রতিদিন ৪৬ টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।
এদিকে ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ওয়াসা আমার ইউনিয়নের যে পানির খনি পেয়েছে তাতে বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। মেশিনের মাধ্যমে খনির পানি উত্তোলন করলে সাধারণ বাসিন্দারা টিউবওয়েলে পানি পাবে না। তাছাড়া ওয়াসা যেসব জমি অধিগ্রহন করেছে তার বিপরীতে ঠিকমতো টাকা পাচ্ছেনা জমির মালিকরা। যারাওবা টাকা পাচ্ছে তারা ৪ভাগের এক ভাগ। যেহেতু সরকারী কাজ তাই সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যাব না বলেন চেয়ারম্যান। তবে ২১ নভেম্বর কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, ২০০৯ সালে দৈনিক ২১২ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা পানি উৎপাদন করত ১৮৮ কোটি লিটার। সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ। বিল আদায় হতো ৬০ শতাংশ। মাত্র আট বছরের ব্যবধানে এখন ২৩৫ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা পানি উৎপাদন করছে ২৪৫ কোটি লিটার। সিস্টেম লস কমে ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিল আদায় হচ্ছে ৯৯ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ