Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী ও টিউলিপকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:১৯ পিএম
  • বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া অনুমোদন
  • ১২ ডিসেম্বর জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস

পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বিশ্বের সৎ ও পরিশ্রমী সরকার প্রধানের তালিকায় স্থান লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের লেবার নিউকামার এমপি অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে দুটি অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস পরিচালিত গবেষণায় বিশ্বের সৎ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় এবং কর্মঠ ও পরিশ্রমী সরকার প্রধানের তালিকায় চতুর্থ স্থান লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় সংসদেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও প্রধানমন্ত্রীর  ছোটবোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের লেবার নিউকামার এমপি অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাউস অব কমেন্সের স্পিকারের কাছ  থেকে তিনি এ সম্মানসূচক পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ জন্য মন্ত্রিসভা অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
এলাকা বাড়িয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭-এর খসড়ার নীতিগত এবং প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল  সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, খসড়া আইনটিতে উপদেষ্টা পরিষদ ও পরিচালনা পর্ষদের বিধান রাখা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদেরাও থাকবেন। আগে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো বরেন্দ্র এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। নতুন খসড়া আইন অনুযায়ী রংপুর বিভাগের সব জেলাও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোতে উন্নয়নের জন্য ১৯৯২ সালের ১৫ জানুয়ারি  রেজুলেশন জারির মাধ্যমে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। গঠিত হওয়ার পর  থেকে বরেন্দ্র এলাকায় সেচের ব্যাপক উন্নয়ন, সেচযন্ত্র বৈদ্যুতিকরণ, মৎস্য উৎপাদন, ফসলের বৈচিত্রায়ন প্রভৃতি কার্যক্রমের পরিধি ও ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নতি সাধিত হয়। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আইনি কাঠামোভুক্তকরণের লক্ষ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭ অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এই আইন অনুমোদনের আগে এর পরিধি ছোট ছিল। কিন্তু এই অনুমোদনের পরে এর পরিধি বেড়েছে। রাজশাহী ও রংপুরের সকল  জেলা এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ আইনে ২৫টি ধারা রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বরেন্দ্র বহুমুখী আইন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি আইনি কাঠামোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পাবে। যা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। এই আইনের মাধ্যমে বরেন্দ্র এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আইনে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ভূপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবহার, কৃষি যান্ত্রিকরণ, বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, শস্যের বহুমুখীকরণ, পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তি দিসব হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  দেশ এখন আইসিটি ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর। আমাদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ডেনসিটি অনেক  বেশি। সারা বিশ্বের হিসেবে ব্যবহারকারীর সংখ্যায় হয়ত দেখা যাবে আমরা সাত বা আট নম্বরে থাকব। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে কনসেপ্ট, এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করছি এবং কাজ করছি। এটা স্মরণীয় করার জন্য ১২ ডিসেম্বরকে ন্যাশনাল আইসিটি ডে হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারণা হাজির করে। এ কারণে ওই দিনটি জাতীয় তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। খ ক্যাটাগরির দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হবে। মূলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো হয় ক ক্যাটাগরির। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়। সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ওই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রিসভা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ