Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্ত প্রতিহত করবে ইসলামী জনতা-বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত এদেশের ইসলামী জনতা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার রিট খারিজ করার দাবি করে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার প্রয়াস সরকারের জনসমর্থনে ধস নামবে। তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূমিতে মূল্যায়ন করা জরুরি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ইসলামী জনতা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন মহল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে কাকে খুশি করতে চায় দেশের মানুষ তা জানতে চায়। তিনি বলেন, সরকারের প্রশ্রয়ে একটি চক্র ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে আমাদের প্রজন্মকে কুফরের দিকে ঠেলে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মতিঝিল আইডিয়াল ও বদরুননিসা কলেজে বোরকা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদিরা এদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ইসলাম ও দেশ বিধ্বংসী সকল অপতৎপরতার মোকাবিলায় সর্বস্তরের তৌহিদী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এখনই ঝাঁপিযে পড়তে হবে। অন্যথায় এদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের অস্তিত্বে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে।
গতকাল সকালে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, মুফতি রেজাউল করীম, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি রেদওয়ানুর বারী সিরাজী, মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ।
কসরে হাদী খানকা শরীফ
কসরে হাদী খানকার খলিফা, শাহ্ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী বলেছেন, সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে ‘আদালতের মাধ্যমে বাতিল করে তবে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি লাভবান হবে’। তখন তারা বলবে তারাই একমাত্র ইসলামের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি। অথচ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধমীয় অনুভূতিকে মূল্যায়ন জরুরি। কিন্তু সংখ্যালঘু ও নাস্তিক নেতৃবৃন্দের দাবির মুখে আদালতের উপর ভর করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার কোনো প্রয়াস সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারে। তিনি আরও বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা ধারণা করে, বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে সংখ্যালঘু পক্ষের শক্তি মনে করে কতিপয় সংখ্যালঘু ও নাস্তিক নেতা এই সুযোগে রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে রিট শুনানি করার প্রশ্রয় পেয়েছে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত ও সরকারের উচিত অবিলম্বে ১৯৮৮ সালের পুরোনো ঐ রিট খারিজ করে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের পক্ষে কাজ করা দরকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সনদে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে মুক্তিযুদ্ধ করতে বলে মুসলমানদের উদ্ধুব্ধ করেছিলেন। তাই বর্তমান সরকারের উচিত বঙ্গবন্ধুর এরূপ কৌশল অনুসরণ করা।
নেজামে ইসলাম পার্টি
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিশে^র ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম-অমুসলিম বহু দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে অনাকাক্সিক্ষত যেকোনো সিদ্ধান্ত শুধু অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে না বরং বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
পার্টির পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার প্রস্তাবে একথা বলা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, অধ্যাপক এহতেশাম সরওয়ার, মো. ওবায়দুল হক, মুফতি আবদুল কাইয়ূম, মুফতি এএনএম জিয়াউল হক মজুমদার, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মহাসচিব নুরুজ্জামান, ফররুখ আহমদ ও মনির হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্ত প্রতিহত করবে ইসলামী জনতা-বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ