Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীন-নেপাল রেলওয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

বাণিজ্য বাড়বে, চীন দু’কোটি ৯০ লাখ লোকের নতুন বাজার পাবে

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চীনের জাতীয় রেলওয়ে প্রশাসনের উপ-পরিচালক জেং জিয়ানের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি নেপালের ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন। তারা মাঠ পর্যায়ে গিরং, পোখারা ও লুম্বিনি সফর করেন। কাঠমান্ডু পোস্টের খবর অনুযায়ী নেপালি রেলওয়ে মুখপাত্র প্রকাশ ভক্ত উপাধ্যায় বলেছেন, চীনা দলটি ভৌগোলিক বিষয়সহ অনেক কারিগরি সমস্যার সমাধান দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের মতো ভূমিকম্প যদি আবার হয়, কিংবা নেপাল ও তিব্বতের ভূমিগত বৈসাদৃশ্যের মতো অনেক বিষয়ে নেপালে সংশয় ছিল। চীনারা বলেছেন, এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। চীনা কোম্পানিগুলো মনে করছে, রেললাইনের মাধ্যমেই নেপালের সাথে বাণিজ্য সবচেয়ে সহজ। তবে এই রেললাইন নির্মাণ বেশ জটিল বিষয়। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, চীন ও নেপালের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে দুই দেশের বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়বে। এর মাধ্যমে চীন দুই কোটি ৯০ লাখ লোকের নতুন বাজার পাবে। অনেকেই মনে করছে, যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণেই নেপালের অর্থনীতি এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে আছে। বর্তমানে নেপাল ও চীনের মধ্যে ১,৩৮৯ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক পয়েন্ট আছে মাত্র দুটি। চীন-নেপাল রেললাইন সম্পন্ন হলে এর মাধ্যমে ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যও বাড়বে। নেপালিরাও চায় এই রেললাইন নির্মিত হোক। এই রেলপথ নেপালের ঐক্যও বাড়াবে। সিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ সান লিৎঝু বলেন, এসব প্রকল্প সম্পন্ন করতে অবশ্য বেশ সময় লাগবে। ভূ-রাজনৈতিক কারণেও সময় যাবে। গত কয়েক বছরে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে চীন ও নেপালের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তারা বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় আন্তঃসীমান্ত রেলযোগাযোগ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৬ সালের মার্চে নেপালি প্রধানমন্ত্রী শর্মা অলি বোয়াও ফোরার সম্মেলনের ফাঁকে চীনের সাথে ১০টি চুক্তি সই করেন। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে রেলযোগাযোগ প্রতিষ্ঠার কথাও রয়েছে। গত মে মাসে এবং গত সেপ্টেম্বরেও দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। চলতি বছর কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম ন্যাশনাল কংগ্রেসের পরপরই রেললাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি চীনা প্রতিনিধিদল নেপাল সফর করে। চীনা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, এই রেললাইন স্থাপন তাদের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিষয়। চীন এখন তিব্বতের জিগেজ থেকে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত তাদের অংশের রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু করে দিয়েছে। সিনহুয়া, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ