Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যক্তি উদ্যোগে বগুড়া পৌরসভার একটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনে নীরব বিপ্লব

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ে বন্ধ

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, বগুড়া থেকে : নিজের এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন অনিহায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন বগুড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সমাজসেবী রেজিস্টার্ড কবিরাজ তরুণ চক্রবর্ত্তি। যার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে গণজাগরণ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিববাটি সেবক সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটনার নামাজগড় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাটনার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চকচকে সাইনবোর্ড, সুদৃঢ বাউন্ডারি ওয়াল, আর স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে চমৎকার ফুল ও সবজির বাগান যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। এ ছাড়া এই চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রীই স্কুলে ইউনিফর্ম পরে ফিটফাট হয়েই স্কুলে আসে। কারণ জানাতে গিয়ে শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা খন্দকার জানালেন, যারা গরিব সেইসব ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করে থাকেন শিক্ষানুরাগী সমাজসেবী তরুণ চক্রবর্ত্তি। তিনি আরো জানালেন, দুপুরে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা থাকায় লেখাপড়ায় মনোযোগে বিঘœ ঘটে না ছোট ছোট শিশুদের।
এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্ত্তি জানালেন, ১৪ সালে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি, স্কুলকেন্দ্রিক এই কর্মসূচিগুলো শুরু করেছি, ২০০৪ সাল থেকে। পুরস্কার বা ভোট পাব এমন চিন্তা থেকেই নয়, নিজের বাল্যকালে প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই বুঝেছি, সরকারি বরাদ্দের মধ্যে সঙ্কটের সমাধান খুজলে লাভ হবে না। তাই নিজের অর্থায়নেই ছোট ছোট সমস্যাগুলোর সমাধান করতে করতেই প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। জোর দিয়েছি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ফলে বাল্যবিয়ের ঘটনা নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়। তিনি বলেন, মেধাবী কিন্তু দরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের সব খরচই বহন করে চলেছি, স্কুলে স্কুলে মেডিক্যাল ক্যাম্প করে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। যতদিন আর্থিক সামর্থ আছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ