Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই ভরসা

একটি ব্রিজের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে দৌলতপুর গ্রামবাসী

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে আবুল কালাম আজাদ : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের অবহেলিত একটি গ্রামের নাম দৌলতপুর। একটি ব্রিজের অভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তারা যুগের পর যুগ। একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলে নদীর ওপর ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণের নিমিত্তে দরপত্র আহŸান করা হয়। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে প্রায় ১২০টি হতদরিদ্র পরিবারের বসবাস। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অবহেলিত এই গ্রামের মানুষ অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। গ্রামের একদিকে বুড়ি নদী, অন্যদিকে সাদিখাল। লোকজন গ্রাম থেকে বেরুতে হলে স্থানীয় বুড়ি নদী পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় বর্ষায় নৌকা এবং গ্রীষ্মে বাঁশের সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। যোগাযোগ ব্যবস্থার করুণ দশার কারণে এলাকায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও বেশি। বর্ষা মৌসুমে প্রায় ছয়মাস স্কুলে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। গ্রীষ্মে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিয়ে ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। কয়েক বছর পূর্বেও গ্রামটিতে এসএসসি পাস করা কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যেত না।
গ্রামবাসীর এই দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সম্প্রতি আবারো একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসী। গ্রামের যুবক মতিলাল দত্ত বলেন, ১৯৯৬ সালে পর্যন্ত আমিই একমাত্র এই গ্রাম থেকে এসএসসি পাস করি। বর্ষায় নৌকা ছাড়া কেউ বেরুতে পারে না বলে প্রায় ছয়মাস স্কুলে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। শুষ্ক মৌসমে বাঁশের সাঁকো থাকলেও ছোট শিশুরা সেই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে পারে না। অন্তত গ্রামের শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। গ্রামের রেজন আহমদ বলেন, ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছি।
আশা করি গ্রামবাসীর কষ্ট দূরিকরণে তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ মতিন গেদাই বলেন, দৌলতপুর গ্রামটি খুবই অবহেলিত। একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে বুড়ি নদীর ওপর ৬০ ফুট লম্বা একটি ব্রিজ নির্মাণের নিমিত্তে দরপত্র আহŸান করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থ সঙ্কটে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ