Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রামীণফোনের প্যানেল আলোচনায় বক্তারা চট্টগ্রামকে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম, ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন আয়োজিত ‘ডিজিটাল ডেভেলপমেন্টঃ রোড টু এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বিশিষ্ট বক্তাগণ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। দেশের ৪০ শতাংশ শিল্প উৎপাদন, ৮০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এবং সরকারের ৫০ শতাংশ রাজস্ব যোগান দেয় চট্টগ্রাম। এসব সাফল্য স্বত্তে¡ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে চট্টগ্রামের প্রতি প্রত্যাশাও বাড়ছে। এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় অগ্রসরমান থাকতে এ নগরীর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশ্বে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে তার মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সেবাখাতসমূহকে ডিজিটালকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের উৎপাদনশীলতা, অবকাঠামো এবং লক্ষ্যমাত্রার মধ্যকার ফারাক হ্রাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে নগরীর রেডিসন বøু বে ভিউর হলরুমে গ্রামীণফোন এ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান এবং টেলিনর হেলথ এর সিইও সাজিদ রহমান টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য তথ্য ও সেবা নিয়ে মূল আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, কেডিএস স্টিলের পরিচালক মুনির এইচ খান, চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকম ইঞ্জিনয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ, বিএসআরএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির আলিহোসেন প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও কাজের গতি বাড়েনি। তিনি বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। না হলে বন্দরে গতিশীলতা ও দেশের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাবে। চেম্বার সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বড় সমস্যা হচ্ছে ছোটখাটো সিদ্ধান্তের জন্য ১৫ দিন ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বন্দরকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ বলেন, সফল ডিজিটালাইজেশনের জন্য তথ্যের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে সেবা প্রদানকারীদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যদিকে ব্যবহারকারীদেরও তাদের ব্যবহৃত সেবা সম্পর্কে অধিকতর সচেতন হতে হবে। আমির আলিহোসেন বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনশীল শিল্পকে অবশ্যই ডিজিটালাইজেশন মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা এ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়বো। মুনির এইচ খান বলেন, প্রযুক্তি আমাদের হাতে বিস্তর সমাধান তুলে দিয়েছে। যদি এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্যবসার চেহারা বদলে যাবে। সাজিদ রহমান বলেন, ডিজিটাল সেবার সুবিধা পেতে গ্রাহকদের আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে কারণ তারা তাদের সমস্যার জন্য ভার্চুয়াল সমাধান মেনে নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন ডিজিটাল পরিবর্তনকে ঘরে বাইরে বাস্তবায়ন করছে। একদিকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সেবা ও প্রক্রিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাহকের সাথে যোগযোগ, বিক্রয় ও বিতরণ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা হচ্ছে। যাতে এসব কিছু ডিজিটালভাবে করা যায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস নেহাল আহমেদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আইটি ও ডিজিটাল সেক্টরের বিশেষজ্ঞসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ