Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৫ বছরে ৩৫ টেস্ট ৪৫ ওয়ানডে!

‘বিগ থ্রি’র পরই বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গত ১০ই নভেম্বর টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ পূর্ণ করেছে ১৭ বছর। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের প্রাচীন ও ঐহিত্যবাহী এই সংস্করণে পদচারণা শুরু আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে অনেকটাই নবীন দেশটি এর পর এই ১৭ বছরে খেলে ফেলেছে ১০৪টি ম্যাচ। যার মধ্যে ১৫টি ড্র’র বীপরিতে জয় দেখেছে মাত্র ১০টিতে। এমন পরিসংখ্যানের বিচারে অনেকেই এখনও মনে করেন টেস্ট খেলার ‘সামর্থ্য’ হয়নি বাংলাদেশের। তবে এই ১০টি জয়ের মধ্যে যখন প্রতিপক্ষ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নামটি চলে আসে, তখন থেকেই নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই ভাবনা থেকেই টেস্টে দুর্বল দলগুলোকে আরো বেশি করে টেস্ট খেলার তাগিদ অনুভুত হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিংন্ত্রক সংস্থাটির।
বছরখানেক ধরে নতুন সূচি নিয়ে কাজ করছিল আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলো। অবশেষে আগামী চার বছরের টেস্টের একটি সূচি দাঁড় করানো হয়েছে। আইসিসির নতুন ভবিষ্যত সফর সূচি অনুমোদন পেলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলবে ৩৫টি টেস্ট। আইসিসির চলতি ভবিষ্যত সূচিতে ৩৩ টেস্ট আছে বাংলাদেশের। নতুন সূচি অনুযায়ী দুটি টেস্ট বেশি থাকবে। নতুন সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে কেবল ভারত (৩৭টি), ইংল্যান্ড (৪৬টি) ও অস্ট্রেলিয়া (৪০টি)। এই সময়ে ২৯ টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২৮টি নিউ জিল্যান্ড, ৩২টি দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৯টি শ্রীলঙ্কা, ২৮টি পাকিস্তান, ১৭টি জিম্বাবুয়ে। টেস্ট পরিবারের নতুন দুই সদস্য আয়ারল্যান্ড খেলবে ১৬ টেস্ট, আফগানিস্তান ১৩টি। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ভারতে প্রথমবার টেস্ট সফর পেতে ১৭ বছর লেগে গেছে বাংলাদেশের। সেটিও ছিল স্রেফ এক টেস্টের সফর। নতুন সূচিতে ২০১৯-২০ সালে ভারতে টেস্ট ও ওয়ানডের পূর্নাঙ্গ সফর আছে বাংলাদেশের। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসবে ভারত।
৯ দলকে নিয়ে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৩ দলর ওয়ানডে লিগকে ঘিরে সাজানো হয়েছে এই সূচি। নতুন সূচিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে ৪৫টি। সবচেয়ে বেশি ৬২ ওয়ানডে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ভারত ৬১টি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা খেলবে ৪৮টি করে। বাংলাদেশের সমান ৪৫টি খেলবে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড ৪৩টি, আয়ারল্যান্ড ৪২টি, আফগানিস্তান ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি ও পাকিস্তান খেলবে ৩৮ ওয়ানডে। এই সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলবে ৪২টি। সবচেয়ে বেশি ৬১ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৬টি। নিউজিল্যান্ড ৪৯, আয়ারল্যান্ড ৪৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৪২টি, ইংল্যান্ড ৪১, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ৩৮, আফগানিস্তান ৩৪ ও জিম্বাবুয়ে খেলবে ৩১টি।
সবশেষ গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে আইসিসির কর্মশালায় মোটামুটি দাঁড় করানো হয়েছে ভবিষ্যত সূচির একটি ছবি। কর্মশালায় ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার। এই সূচি এখন পাঠানো হবে আগামী ফেব্রæয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায়। সেখানে অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায়। সিঙ্গাপুরে যে সূচি দাঁড় করানো হয়েছে, সেখান থেকে বড় পরির্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
গুরুত্ব পাচ্ছে এশিয়া কাপও
২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬, সবশেষ তিনটি এশিয়া কাপ হয়েছে বাংলাদেশে। দারুণ জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট হলেও এশিয়া কাপ নিয়ে বরাবরই থাকত অনিশ্চয়তা। ছিল না সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ। নির্ভর করতে হতো দলগুলির ফাঁকা সময়ের ওপর। তবে এবার আগামী তিন আসরের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ পেল এশিয়া কাপ।
২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আইসিসির প্রস্তাবিত ভবিষ্যত সূচিতে এশিয়া কাপের জন্য আলাদা জানালা রাখা হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তিনটি এশিয়া কাপের তারিখ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮, ২০২০ ও ২০২২ সালে ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আগামী তিন এশিয়া কাপ। আগামী এশিয়া কাপ হওয়ার কথা শ্রীলঙ্কায়। বাকি দুটির স্বাগতিক নিশ্চিত নয় এখনও। এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি আইসিসি ওয়ানডে লিগের অন্তর্ভুক্ত হবে না। স্বতন্ত্র টুর্নামেন্ট হিসেবে থাকবে।
বরাবরই ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্ট হলেও গত আসর থেকে বদলে দেছে এশিয়া কাপের ধারা। ঠিক হয়েছে, আইসিসি বিশ্বকাপের সঙ্গে তাল রেখে ঠিক হবে এশিয়া কাপের সংস্করণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ২০১৬ সালে তাই এশিয়া কাপ হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে। আবার ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ২০২০ এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
প্রস্তাবিত এই সূচি পাঠানো হবে আগামী ফেব্রæয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায়। সেখানে অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ