Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাবনা ঢালারচর রেলপথ নির্মাণ শেষ চলাচল করলো প্রথম পরীক্ষামুলক ট্রেন

পাবনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৫:৪৯ পিএম | আপডেট : ৬:৩৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পাবনার মাঝগ্রাম-ঢালারচর রেলপথে পরীক্ষা মূলক ট্রেন চলাচল হয়েছে।
পাবনার মাজগ্রাম-ঢালারচর রেল প্রকল্পের মাজগ্রাম থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষে প্রথম পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল করেছে। ট্রেনে এসেছে পাবনা রেল স্টেশনে ।
বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী ষ্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পরীক্ষামুলক ট্রেনটি বেলা ১১ সোয়া দিকে পাবনা ষ্টেশনে এসে পৌঁছায়। এসময় জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো ট্রেনে আসা রেল কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান। এক ঘণ্টা পরে বেলা ১২টায় দিকে পাবনা থেকে ট্রেনটি আবার ঈশ্বরদী স্টেশনে ফিরে যায়। এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন থেকে ৩০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার গতিতে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা আসতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটির সময় লাগে ৪০ মিনিট কয়েক সেকেন্ড। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হক বলেন, বর্তমান সরকার রেলবান্ধব সরকার। চলতি বছরের শেষে পাবনার সাথে রাজশাহী এবং আগামী বছরের শুরুতে পাবনার সাথে ঢাকার রেল চলাচল শুরু হবে।
২০১০ সালে এই রেললাইনের নকশায় কিছুটা পরিবর্তন এনে রেলপথটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা শহর হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওই বছরের ৫ অক্টোবর একনেক বৈঠকে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয় এক হাজার ৬২৯ কোটি টাকায়।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাবনায় রেল লাইন করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সিদ্ধান্তের তড়িৎ বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী ক্যাপ্টেন শহীদ এম. মনসুর আলী। পাবনায় রেলপথের জন্য ওই সময় সিংগার কাছে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাবনায় এক জনসভায় এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলপথের নকশার পরিবর্তন করে এটি পাবনার ত্রিমোহনী এলাকা ঢালার চর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। ঈশ্বরদী থেকে পাবনা শহরের সিংগা মেরিল বাইপাস হয়ে ঢালার চর পর্যন্ত রেলপথ করতে আরো জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের টাকা পেতে জেলা প্রশাসনের এলএ দপ্তরের অসাধু ব্যক্তিদের পকেট ভারি করতে হয় অধীগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের। তারপরও বাস্তবতা হলো, পাবনায় রেল স্টেশন ও রেল চলাচল এখন আর স্বপ্ন নয়। বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ঢালার চর পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হতে আরো সময় লাগবে। প্রশ্ন উঠেছে ঢালার চরের পর রেলপথ আর কোথায় যাবে। পাবনা মানুষজন চাইছেন রেলে চরে সহজে ঢাকায় যেতে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো ঢালারচর হয়ে ঢাকা যাওয়া যাবে। এখন রেল যোগাযোগ ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালার চর পর্যন্তই থাকছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরীক্ষামুলক ট্রেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ