Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ দিন

সকাল ৭টায় স্কুলের জন্য বাসা থেকে বের হতে হবে। তাই মাকে ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। রান্নাবান্না করা, স্কুলের জন্য সোনামণিদের তৈরি করা। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কাজ করা- সব মিলিয়ে গৃহিণীদের ব্যস্ততাপূর্ণ সময় কাটে রোজ সকালে। উদ্দেশ্য একটাই, সন্তানের ভালো রেজাল্ট। ভালো রেজাল্টের প্রত্যাশা মানুষকে এতটাই অন্ধ করেছে যে, ভালো-মন্দ বোঝার সক্ষমতা হারিয়ে গেছে, যে কোনো মূল্যে জিপিএ ৫ পেতেই হবে। যে স্কুলে বেশি জিপিএ ৫ পাওয়া যায়, সন্তানকে সেই স্কুলে ভর্তি করাতে যেন চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। আর তাতে সন্তানের শারীরিক বৃদ্ধি কতখানি হচ্ছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই। স্কুল-প্রাইভেট-কোচিং এই করে কেটে যাচ্ছে দিনের ১২ ঘণ্টা। একটা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিয়ে অভিভাবকরা যেন উদাসীন। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক গঠনে শিশুদের হূষ্টপুষ্ট করতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। যে টাইট সিডিউল লেখাপড়ার তাতে সময় কোথায় খেলাধুলার! তাছাড়া মাঠের সংকট তো আছেই। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে তাই খেলাধুলার সময় রেখে পরিবর্তন আনতে হবে শিক্ষা গ্রহণের সময়সূচিতে।
প্রকৌশলী সাব্বির হোসেন
শ্রীপুর, গাজীপুর

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করুন
ভেজালে ভেজালে মানুষের জীবন এখন বিপন্ন। একটি মানুষের দৈনিক খাদ্য তালিকায় যা যা রাখা দরকার, তার বেশিরভাগই ভেজাল। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে থাকে, যার ফল আমাদেরই ভোগ করতে হয়। বেশি লাভ করার নেশায় তারা যে কোনো সুস্বাদু খাদ্যকে ভেজাল দিয়ে কুখাদ্যে পরিণত করছে। শাকসবজি বেশিদিন সংরক্ষণ করার আশায় তারা সবজিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যালের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে। মাছ বেশিক্ষণ তাজা দেখাতে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা মানবদেহের জন্য অধিক ক্ষতিকর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কেমিক্যাল মাছের গায়ে লাগিয়ে দেয়, যা আমাদের দেহে মারাত্মক ক্ষতিকর।
আম, আপেল, কমলা, কাঁঠাল, আঙুর ও বেদানা এখন খাওয়ার উপযোগী নয়। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা খাদ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় সেই খাদ্য মোড়কজাত করে মেয়াদ বাড়ায়। চানাচুর, বিস্কুট, সেমাই, আটা, ময়দা, তেল ইত্যাদি পণ্যে বেশিরভাগ লক্ষ্য করা যায়। নামিদামি কোম্পানির নাম নকল করে অনেকে ভেজাল খাদ্য বাজারে বিক্রি করছে। জীবন বাঁচানোর জন্য যে ওষুধ তাতেও আজ অধিক পরিমাণে ভেজালের ছোঁয়া লেগেছে। মরিচ, হলুদের গুঁড়ার মধ্যে ইটের গুঁড়ার সংমিশ্রণ ঘটছে। ছোট বাচ্চাদের জন্য গুঁড়া দুধ কিনতে গেলে তাতেও এখন ভেজাল দেখা যায়। নিত্যপণ্যের দিকে দৃষ্টি রাখলেই তা এখন ভেজালে ভরপুর। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কু-মনোভাবের কারণে আমরা আজ ভেজাল খাদ্য ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছি। মানুষের দেহে আজ বড় বড় রোগ বাসা বেঁধে আছে। এর জন্য জীবন আয়ু যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি দেহের বল শক্তিও হ্রাস পাচ্ছে। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তাইফুর রহমান মুন্না
কাছিকাটা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন