Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানবীর সা. ধারাবাহিক জীবনী

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

যুদ্ধের কারণ
এই অভিযানের কারণ এই যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হারেছ ইবনে ওমায়ের আযদীকে একখানি চিঠিসহ বসরায় গভর্নরের নিকট প্রেরণ করেন। রোমের কায়সারের গভর্নর শরহাবিল ইবনে আমর গাস্সানি সেই সময় বালক এলাকায় নিযুক্ত ছিলো। এই দূর্বৃত্ত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দূতকে গ্রেফতার করে এবং শক্তভাবে বেঁধে হত্যা করে। স্মরণ করা যেতে পারে যে, রাষ্ট্রদূত বা সাধারণ দূতদের হত্যা করা গুরুতর অপরাধ। এটা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল, এমনকি এর চেয়েও গুরুতর মনে করা হয়।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্র:- কোন নামাযের সুন্নত পড়ার সময় যদি ঐ নামাযের জামাআত দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কী করতে হবে?
উ:- এই অবস্থা যদি ফজর নামাযের বেলায় হয় এবং এই রকম আশা করা যায় যে, সুন্নত পড়ে অন্ততঃ শেষ বৈঠকের নাগাল পাওয়া যাবে তাহলে সুন্নত শেষ করেই জামাআতে শামিল হতে হবে। ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নতের বেলায় যদি দেখা যায় যে, প্রথম দুই রাকাতের সময় জামাআত দাঁড়িয়েছে তাহলে প্রথম বৈঠকে সালাম ফিরিয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। আর যদি শেষ দু’রাকাতের মধ্যে জামাআত দাঁড়ায় তাহলে চার রাকাত সুন্নত পূর্ণ করেই জামাআতে শামিল হওয়া যাবে এবং তাই করতে হবে।
প্র:- চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নতের দুই রাকাতে শেষ করার কারণে কয় রাকাত কাযা করবে, দুই না চার?
উ:- চার রাকাত কাযা করবে। আর ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হবে।
প্র:- ফরয নামাযের জামাআত হওয়ার সময় কেউ মসজিদে এসেছে। সে জামাআত-পূর্ব সুন্নত কখন আদায় করবে?
উ:- ফজরের নামাযের জামাআত হলে এবং শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জামাআতের ভিতরই সুন্নত পড়তে হবে। আর শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা না
থাকলে বাধ্য হয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। যোহর বা জুমআর সুন্নত হলে জামাআতের ভিতর সুন্নত নামায শুরুই করা যাবে না।
প্র:- উক্ত সুন্নতগুলো কখন আদায় করা যাবে?
উ:- ফরয নামাযের পর আদায় করা যাবে। তবে ফজরের সুন্নত সূর্যোদয়ের পর আদায় করা উত্তম। আসর এবং এশার সুন্নত মুআক্কাদাহ নয়, তাই এগুলোর কাযা করতে হবে না।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
ইসলামী কর্মতৎপরতা
বিশ্বের পৌনে ৩ লাখ ছবির মধ্যে পুরস্কার পেল বায়তুল মোকাররমের দুই ছবি
হামিম আরিফ: মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া আয়োজিত উইকি লাভস মনুমেন্টসের (ডবিøউএলএম) চূড়ান্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের বায়তুল মোকাররমের দুটি ছবি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে ছবি তোলার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা এটি। এতে পৌনে তিন লাখ ছবি প্রতিযোগিতার জন্য জমা হয়েছিল।
বায়তুল মোকাররমে ছবি দুটো তুলেছেন বাংলাদেশের আজিম খান রনি ও জুবায়ের বিন ইকবাল। রনির ছবি তৃতীয় ও জুবায়েরের ছবি রয়েছে সপ্তম স্থানে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে তৃতীয় স্থান পাওয়া আজিম ১২০০ ইউরো সমমূল্যের ক্যামেরা সংক্রান্ত যন্ত্রাদি আর সপ্তম হওয়া জুবায়ের বিন ইকবাল ৪০০ ইউরো সমমূল্যের যন্ত্রাদি কেনার সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিজেদের স্থাপনার ছবি নিয়ে অংশগ্রহণ করে। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের স্থাপনার ১৬ লাখের বেশি ছবি যুক্ত হয়েছে। গিনেস বুকের রেকর্ড অনুযায়ী, এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা।
এ বছর ৫৪টি দেশের ১০ হাজার অংশগ্রহণকারী ২ লাখ ৪৫ হাজার ছবি আপলোড করেছেন। আন্তর্জাতিকভাবে বিজয়ী সব ছবি দেখা যাবে িি.িরিশরষড়াবংসড়হঁসবহঃং.ড়ৎম/ঃযব-রিহহবৎং-ড়ভ-২০১৭ ঠিকানায়।
বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট
মহান বিজয় দিবস ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে একদল তরুণ লেখক, গবেষক, সম্পাদক ও চিন্তাশীলদের মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে “বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট (বিআইএম)”। নয়াপল্টনস্থ ইনসাফটোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে বিকাল ৪ ঘটিকায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরামর্শ ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সদস্যগণের প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ, দৈনিক ইনকিলাব এর সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, জনাব উবায়দুর রহমান খান নদভীকে সভাপতি, নুরবিডি ডটকম এর সম্পাদক সৈয়দ শামছুল হুদাকে সম্পাদক মনোনীত করা হয়। পরবর্তী বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সংগঠক রুহুল আমীন সাদী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বিশিষ্ট লেখক ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী, লেখক, মুহাদ্দিস মাওলানা জহির ইবনে মুসলিম, আরবী ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, পরিবর্তন ডটকম এর সিনিয়র সহসম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর সহসম্পাদক আলী হাসান তৈয়ব, ইনসাফটোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, লেখক, অনুবাদক আব্দুস সাত্তার আইনী, মারকাজু শাইখুল ইসলাম আল মাদানী এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুল আলীম, পীর ইয়েমেনি জামে মসজিদের খতীব, মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী, পাক্ষিক সবার খবর সম্পাদক, আব্দুল গাফফার, ওয়ারী বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতীব আব্দুল্লাহ মাহমুদ, আবু বকর সিদ্দীক জাবের, রুপান্তর পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাবিব, যয়নুল আবেদীন, মাসিক নবডাক সম্পাদক আহমাদউল্লাহ আশরাফ, মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ, আনাস বিন ইউসুফ, মুহাদ্দিস মাওলানা জাবের কাসেমী, রেজাউল করীম, মাওলানা আব্দু রশীদ চৌধুরী, আ.ন.ম নকীব আশরাফ, সৈয়দ আল হাসান, মোঃ আব্দুস সালাম প্রমুখ। টেলিফোনে বৈঠকের সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন মাসিক মুঈনুল ইসলাম এর সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ও উম্মাহ ডটকম এর সম্পাদক মাওলানা মনির আহমদ, মাসিক সাওতুল হেরা ও মাইনিউজ ডটকম এর সম্পাদক মুফতি শুয়াইব আহমদ, ডেইলী সান এর কলামিষ্ট মাওলানা যুবায়ের আহমদ, সিলেট রিপোর্ট এর সম্পাদক রুহুল আমীন নগরী, সমর্পন শিল্পী গোষ্ঠীর প্রধান ওবায়দুল্লাহ সায়েম, বিশিষ্ট লেখক, কলামিষ্ট আবুল কাশেম আদিল, মাসিক ইসলামী পয়গামের সহযোগী সম্পাদক জাকির উসমান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান কুতুবজাফরী। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ