Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে যানবাহনে গণডাকাতি

টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রতিবাদে তিন ঘণ্টা অবরোধ, জনদুর্ভোগ
টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে নারকেল গাছের গুড়ি ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিনাবাজার ও ঝিমংখালীর মাঝামাঝি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাস ও ট্রাক চালক শ্রমিকেরা সড়কে এলোপাথাড়ি ট্রাক ফেলে তিন ঘণ্টা অবরোধ করে এবং জনদুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে ঝিমংখালী-মিনাবাজার ব্রীজ সংলগ্ন মসজিদের সামনে পৌঁছলে সড়কের পাশে থাকা নারকেল কাঠের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে ১০-১২ জনের সঙ্গবদ্ধ একটি মুখোশধারী ডাকাত দল ভারি অস্ত্র ও কিরিচ নিয়ে পর্যটকবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোসহ ১৫টি গাড়ি আটকিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির শিকার হওয়া টেকনাফ উপজেলা শ্রমিক নেতা নজু মিয়া ড্রাইভার জানান, ঝিমংখালী এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২ জনের মুখোশধারী একটি ডাকাতদল রাস্তায় নারকেল কাঠের গুড়ি ফেলে গতিরোধ করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
অপর এক বাসের হেলপার ওমর ফারুক জানান, ডাকাতির সময় একটু দূরে থাকা কয়েকজন টচ লাইট দিয়ে আমাদের করুন মূহুর্ত দেখছিল কিন্ত কেউ কোন সহযোহিতা এমন কি একটি আওয়াজও দেয়নি। ঘটনার পর লোকজন এসে বলেন মাদক সেবনের টাকার জন্য সড়ক ডাকাতি করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নাইট কোচ চালক জানায়, গত এক সপ্তাহে একই স্থানে আজকে সহ দুইবার গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমাসের ১০-১৫ বার ডাকাতি হয়। তবে এখানে পুলিশের কোন ভূমিকা থাকেনা। স্থানীয় মেম্বারকে চাপ প্রয়োগ করলে সব বেরিয়ে আসবে। স্থানীয় মেম্বারের ইন্ধনে এসব হচ্ছে এবং ঐ স্থানের বরাদ্দ দেওয়া রাস্তার সৌরবিদ্যুৎ চালিত (সড়কবাতি) টি তার নিজ বাড়ির সামনে লাগান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহ আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, টেকনাফ-ককসাবাজর সড়কে দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি বন্ধ থাকলেও স¤প্রতি আবার শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। গত কয়েক মাসে একই সময়ে একই কায়দায় একই স্থানে ডাকাতরা কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে গেলেও ওই এলাকায় পুলিশের কোনো তৎপরতা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে জনগণের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হোয়াইক্যং ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত কয়েক দিনের ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার তৎপরতা চালাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ