Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাতিজা তারেক জীবিত ইয়েমেনের সূত্র

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইয়েমেনের মারিব প্রদেশের উপজাতি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট গার্ডের কমান্ডার ও নিহত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ’র ভাতিজা তারেক আব্দুল্লাহ এখনো বেঁচে আছেন। আল-জাজিরাকে দেয়া এ সংবাদ আগের সংবাদের বিপরীত যাতে বলা হয়েছিল যে, তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি সম্প্রচারিত হচ্ছে যাতে দেখা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর যে হামলায় প্রেসিডেন্ট নিহত হন তাতে তারেক আব্দুল্লাহ সালেহ আহত হয়েছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় চাচা নিহত হবার ৩ দিন পর ৭ ডিসেম্বর তারেক আব্দুল্লাহ তার সহযোগীদের নিয়ে মিরাবের উদ্দেশ্যে রাজধানী সানা ত্যাগ করেন।
সূত্র আরো যোগ করেছে যে, মিরাবে আরব আমীরাতের প্রতি অনুগত সৈন্যরা বিমান সরবরাহ করে কোন উপসাগরীয় দেশে চলে যেতে সহযোগিতা করেছে। তবে সূত্র নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তিনি আরব আমীরাতে এখনো রয়েছেন কি না।
হুতিদের হত্যার শিকারে পরিণত হবার দু’দিন আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে পুরনো সহযোগীদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধরত সউদী নেতৃত্বাধীন জোটের সাথে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অনাস্থার সময়কাল
আরব আমীরাতের আবুধাবী ও সউদী আরবের সূত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর পুত্র আহমদের জন্য পথ উন্মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক ও ইয়েমেনের সূত্রগুলোর সাথে দেনদরবার করতে আগ্রহী ছিল। তবে আহমদ এ ধরনের ভূমিকা পালনে প্রস্তুত নন বলায় দেশ দু’টি তারেকের দিকে ফিরে যায়। তারেককে ব্যাপক অর্থে মরহুম প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই মনে করা হত। আলী আব্দুল্লাহ সালেহ তারেকের দুই ভাইসহ তার ওপর খুব আস্থাবান ছিলেন। এক ভাই আম্মার ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর উপ-পরিচালক এবং অপর ভাই ইয়াহইয়া ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রধান। আলী আব্দুল্লাহ সালেহ’র বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে শেষ বিচ্ছেদের আগে তার প্রতি অনুগত একটি বিশেষ বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারেক।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সউদী রাজধানী রিয়াদ, আবুধাবি ও সানার মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়া নেতৃত্বের মধ্যে অবিশ্বাসের কারণেই সালেহর রাজনৈতিক দল জেনারেল পপুলার কংগ্রেসের মধ্যে সা¤প্রতিক বিরোধ দেখা দিয়েছিল।
তারা বলেন যে, গ্রেফতারের একটি ঢেউ জিপিসিতে ছায়াপাত করেছে। প্রতিটি পক্ষই একে অপরকে সালেহর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করে চলেছে। সূত্র : আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ