Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘন কুয়াশায় বীজতলায় পচন : দিশেহারা কৃষক

প্রচন্ড শীতে জয়পুরহাটের ৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর বোরো ধানে রোগবালাই

| প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাট থেকে মুহাম্মদ আবু মুসা : ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো প্রচন্ড শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা জয়পুরহাট। এমন ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার কারণে এবার বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় অনেকটায় নষ্টের পথে এসব বীজতলা। দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগবালাই ও পচন দেখা দেয়ায় কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
উত্তরের জেলা জয়পুরহাটে গত আমন মৌসুমে ধানের বাজার মূল্য বেশ ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবার বোরো চাষের জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর সে কারণে এবার এ মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে। এ পরিমাণ জমিতে লাগানোর জন্য বীজতলা তৈরি এবং বীজ বপন করা হয়েছে তিন হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উত্তরের কনকনে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর দিনভর সুর্যের আলো না থাকায়, হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় জেলায় বোরো ধানের বীজতলা ও চারা নিয়ে অনেকটায় বিপাকে পড়েছেন জেলার চাষিরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারিক বলেন, কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে আর ঘন কুয়াশায় অনেকটাই নষ্টের পথে বীজতলা। দেখা দিয়েছে নানা প্রকার রোগবালাই। এমন বৈরী আবহাওয়ায় বীজতলার চারা নষ্ট হলে বিপাকে পড়বেন তারা। এদিকে একই গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম জানান, টানা এক সপ্তাহ ধরে ঘনকুয়াশা আর তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ধানের বীজতলায় দেখা দিয়েছে হলুদে ধরনের রোগ, যাতে কোনো প্রকার ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের সহায়তা চাওয়ার পাশাপাশি আসছে মৌসুমে বোরো ধানের চাষ নিয়ে অনেকটায় শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
অন্যদিকে কোমরগ্রামের কৃষক মোকলেছুর রহমান নতুন বীজতলা তৈরি করে সবেমাত্র বীজ বপন করেছেন। যদি এমন আবহাওয়ার কারণে চারা না গঁজায় অথবা এসব বীজতলা ও চারা নষ্ট হয়, তাহলে এ মৌসুমে বোরো উৎপাদনে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন এ জেলার চাষিরা, এমন কথাই বলছেন তিনি।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান, প্রচন্ড শীত এবং ঘন কুয়াশার কবল থেকে বীজতলা ও চারা রক্ষায় জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সার্বক্ষণিক দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের পরামর্শ, যাতে করে বীজতলা এবং চারা নষ্ট না হয়। এ ছাড়া ৭২ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পুরোপুরি পূরণে আশাবাদী তিনি।
এদিকে এমন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশার কবল এসব বোরো ধানের বীজতলা এবং চারা রক্ষা করে কৃষিনির্ভর এ জেলার কৃষকদের বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতা কামনা করেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ