Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিদ্রোহীদের তাপে সংকোচিত প্রধান দুই দলের মনোনীত প্রার্থীরা

গ্রামীণ জনপদে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া

প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২য় পর্যায়ে আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রথম দফা লড়াই শেষে প্রতীক বরাদ্দের পর চূড়ান্ত লড়াইয়ে প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী কৌশল নিয়েও নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন। পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের পাল্লা ভারী হয়েছে দেখে ইউপি নির্বাচনেও আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে প্রার্থীদের নির্ঘুম দৌড়ঝাঁপ ছিল। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আ.লীগ ও বিএনপি দুই দলেই রয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। নিজেদের জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যক্তি ইমেইজকে পুঁজি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে বিদ্রোহীর তাপে অনেকটাই সংকোচিত দুই জোটের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জয় পরাজয়ের হিসাব নিকাশ বদলে যেতে পারে। দলীয় মনোনয়নকে একটি ভোট ব্যাংক হিসাব করে বিজয়ের ছক আঁকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা দলীয় ভোট ব্যাংকে চির ধরাতে পারে এমনটিই বলছেন ভোটাররা। তাছাড়া প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনটি এলাকাভিত্তিক রাস্তার এপার ওপার, নদী বা খালের এপার ওপার আত্মীয়তার বন্ধন ও বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতা দীর্ঘ দিন যাবত চলে আসছে। হঠাৎ করে দলীয় মনোনয়ন দিলেও আঞ্চলিকতা ও স্বচ্ছ ইমেজ কাজ করছে নির্বচনী মাঠে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সদ্য যোগদানকারী আ’লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমে আসায় জোর লবিং তদবীর আর দল বদল করে আ’লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। দলীয় প্রতীকই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ধুলদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাব উদ্দিন ও করগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল হক আফরোজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিগত নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নের ৫টিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয় লাভ করেছিলেন। ২টিতে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেন। এ হিসাবে ৯টি ইউনিয়নেই বিএনপির একটি সমৃদ্ধ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান বা জনপ্রিয় কোন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রায় সব ক’টি ইউনিয়নেই বিএনপি ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ শিক্ষক নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক প্রথম বলে পুরোপুরি দলীয় ইমেজ কাজ করছে না। এর সুফল পারে দীর্ঘ মেয়াদে এই প্রথা চালু থাকলে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এমন এমন অনেক ব্যক্তি নৌকার কান্ডারী হয়েছেন। কি করে হয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে দলকে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন বনগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ধুলদিয়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, চান্দপুরে ইনসাফ আলী, মুমুরদিয়া ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম, আচমিতা ইউনিয়নে এনামুল হক শৈবাল, জালালপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রুস্তম, লোহাজুরী ইউনিয়নে খায়রুল আমিন রুহুল। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন করগাঁও ইউনিয়নে শরাফত লস্কর পারভেজ, চান্দপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ছেনু মিয়া, মসূয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক, লোহাজুরী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার মারুয়া। বনগ্রাম ইউনিয়নে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- কামাল হোসেন মিলন (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী রুহুল আমীন প্রিন্স (ধানের শীষ), বাসদের প্রার্থী নজরুল ইসলাম(মই) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (ঘোড়া) আ’লীগ বিদ্রোহী। ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নৌকা প্রতীক সরকার দল মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আবুল কাশেম আকন্দ (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মোখলেছুর রহমান বাবলু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক তাসনিতা (ঘোড়া), মোঃ শাহজাহান মিয়া (আনারস) আ’লীগ বিদ্রোহী। বিএনপি প্রার্থী দলীয় ভোট ব্যাংকের উপর ভরসা করে এগিয়ে যাচ্ছেন। আ’লীগ প্রার্থী আবুল কাসেম সাবেক চেয়ারম্যান ছাড়াও আ: কাহার আকন্দের ছোট ভাই। এলাকায় সুপরিচিত এবং ব্যাপক প্রভাব রয়েছে । অপর দিকে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান মিয়া সাবেক চেয়ারম্যান এবং তাঁর পিতাও চেয়ারম্যান ছিলেন। তার জনপ্রিয়তার কোন অংশে কমতি নেই। তবে বিএনপির সাবেক সাংসদ মেজর আখতারুজ্জামান রঞ্জনের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি যে দিকে সমর্থন দিবেন সেদিকে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বিএনপির ভোট ব্যাংকে চির ধরিয়ে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই প্রবল। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। করগাঁও ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বেলায়েত হোসেন বাদল মাস্টার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আলী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফত লস্কর (আনারস) বিএনপি বিদ্রোহী, মোঃ আব্দুল আলী (ঘোড়া) ও আব্দুল ছালাম বাচ্চু (মটর সাইকেল)। গত নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত শরাফত লস্কর পারভেজ অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেন। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। এখানেও নৌকা, ধানের শীষ ও আনারস মার্কার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আঞ্চলিকতা নির্বাচনে জয়ের নিয়ামক হবে বলে এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জানান। চান্দুপুর ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বোরহান উদ্দিন খান (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী ছাদেক হোসন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনসাফ আলী (ঘোড়া) (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও মাহতাব উদ্দিন (আনারস) (বিএনপি বিদ্রোহী)। এখানেও নৌকা, ধানের শীষ ও আনারস মার্কার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন সৈয়দুজ্জামান (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আলা উদ্দিন সাবেরী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ছেনু মিয়া (আনারস) বিএনপি বিদ্রোহী, সাইফুল ইসলাম (ঘোড়া) (আ’লীগ বিদ্রোহী)। এখানেও নৌকা, ধানের শীষ ও আনারস মার্কার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে নৌকার সৈয়দুজ্জামান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আচমিতা ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আবু হানিফা (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মাহবুর রহমান বাচ্চু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক শৈবাল (ঘোড়া) আ’লীগ বিদ্রোহী, ওবায়দুল আকন্দ (মোটরসাইকেল) ও হারুন অর রশিদ (আনারস)। এখানে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আ’লীগ বিএনপির মাঝে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মসূয়া ইউনিয়নে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ইদ্রিস আলী (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম বায়তুল (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ.কে.এম সামসু উদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন (মোটরসাইকেল), আবু বকর ছিদ্দিক (আনারস) (বিএনপি বিদ্রোহী) ও আব্দুল কাদির (ঘোড়া)। এ ইউনিয়নে চতুর্মুখী লড়াইয়ের কথা শুনা যায়। নৌকা প্রতীক ও বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি বিদ্রোহী আনারস প্রতীক একই ওয়ার্ডের হওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে জাতীয়পার্টির একমাত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এ,কে,এম সামসুদ্দিন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লোহাজুরী ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আতাহার উদ্দিন ভূঞা রতন (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী সাইফুল মতিন জুয়েল (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের সিরাজুল ইসলাম (হাতপাখা) স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর (মোটরসাইকেল), গোলাম হায়দার মারুয়া (আনারস) বিএনপি বিদ্রোহী ও খায়রুল আমীন রুহুল (ঘোড়া) আ’লীগ বিদ্রোহী। গত নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নিকট হেরে যান। এবার তিনি ভাল অবস্থানে রয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জালালপুর ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন শাহনেওয়াজ ভূঞা শানু (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী রফিকুল আলম রফিক (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান রুস্তম (আনারস) (আ’লীগ বিদ্রোহী) ও মতিউর রহমান মাষ্টার (ঘোড়া)। এখানে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। কে বিজয়ী হবে আগে থেকে কেউ মুখ খোলে কিছু বলতে পারছেন না। তবে আ’লীগের শাহনেওয়াজ ভূঞা শানু সদ্য আ’লীগে যোগদান করায় নেতা কর্মীদের মধ্যে আস্থাহীনতার কারণে আ’লীগ বিদ্রোহী ও বিএনপির প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ৯টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ১৮ জন এবং নারী ভোটার ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮৪টি। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কটিয়াদীতে ৯টি ইউনিয়নে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রচার-প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত প্রচার প্রচারণায় কোন পক্ষের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্রোহীদের তাপে সংকোচিত প্রধান দুই দলের মনোনীত প্রার্থীরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ