Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জনবল সংঙ্কট চরমে, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। জনবল সংকটে ভেঙে পড়েছে সেবার মান। এমন পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেননি সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান। তিনি বলছেন, আগামী বিসিএস শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলাবাসীকে এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে অনুমোদিত ২৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৪ জন। এরমধ্যে শূন্য রয়েছে সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী, সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থ সার্জারী, সিনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়ার কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক, জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি, জুনিয়র কনসালটেন্ট বিষয় বিহীন, জুনিয়র কনসালটেন্ট প্যাথলজী, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী, জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসথেসিয়া, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার আয়ুর্বেদিক, রেডিওলজিস্ট, একজন মেডিকেল অফিসার, একজন নার্সিং সুপারভাইজার, একজন স্টাফ নার্স এবং ৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং সাতটি ২য় শ্রেণির কর্মচারীর পদ।
জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্মরত ডাক্তারা। অন্যদিকে, চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা নাজেহাল হচ্ছে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডাক্তার চলে যাওয়ায় অনেক রোগীই চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। দায়ীত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে বদলী হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চলে গেছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান বলেন, আগামী বিসিএস এর আগে ডাক্তার সংকট সমাধানের সুযোগ নেই। তবে, এ মুহূর্তে যে জনবল আছে তা দিয়ে আমরা সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ১০০ শয্যার চিকিৎসা সেবা।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ইন্টারশীপ’র জন্য আসা মেডিকেল এ্যাসিস্টান্টরা পড়েছে মহা বিপদে। কিছুদিন পূর্বে ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন করা কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের অন্যান্য মেডিকেল এ্যাসিস্টান্ট টেনিং স্কুল এলাকার হাসপাতালসমূহে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশীপ করে থাকে। যেখানে সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা তাদেরকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সাতক্ষীরাতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা একই হাসপাতালে ইন্টার্নশীপ করায় মেডিকেল এ্যাসিস্টন্টরা বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে আগামী দিনের এসব মেডিকেল এ্যাসিস্টান্টরা উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মক্ষেত্রে মূলত ব্যর্থতারই পরিচয় দেবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন যেহেতু সাতক্ষীরা সরকারি ম্যাটস এবং আইএইচটি’র অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন সেহেতু তিনি মেডিকেল এ্যাসিস্টান্ট শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আন্তরিক হবেন বলে তারা আশা করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, মেডিকেল এ্যাসিস্টান্টদের জন্য শিফটিং ব্যবস্থা করলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ