Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভর্তি পরীক্ষার নামে প্রমোশন ঠেকিয়ে দেয়ায় রায়পুরায় স্কুলে হামলা ভাঙচুর

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে না পেরে স্কুলে হামলা চালিয়েছে ভাঙচুর করেছে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা স্কুলের দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল, আলমিরা, কাপপিরিচ, প্লেট, ইত্যাদি ভাঙচুর করেছে। প্রধান শিক্ষকের অফিস তছনছ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, হাসনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৯শ’রও বেশী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্কুলের গত বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তাদের সকলের জন্যই নিজস্ব তত্বাবধানে একটি ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ভর্তি পরীক্ষায় যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের প্রমোশন স্থগিত করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের বাইরে থাকার সুযোগে উশৃঙ্খল ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের দরজা ভাঙচুর করে, চেয়ার, টেবিল, আলমিরা ভাঙচুর ও উলট-পালট করে। প্রধান শিক্ষকের ফাইলপত্র তছনছ করে চলে যায়। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, ৮ম শ্রেণীতে ছাত্র সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। পক্ষান্তরে শিক্ষকের অভাবে ৯ম শ্রেণীতে এতো ছাত্র-ছাত্রীর লেখপড়া করার কোন সুযোগ নেই। যার ফলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেধাবী ছাত্র বাছাইয়ের জন্য একটি ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। এতে যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে প্রমোশন দেয়া হয় এবং যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের প্রমোশন স্থগিত রাখা হয়। এই ঘটনা কেন্দ্র করেই উশৃঙ্খল ছাত্ররা স্কুলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কেউ স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান।

ঝিনাইদহে শিক্ষক কবীর গ্রেফতার
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত শিক্ষক কবীর উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে ঘটনার পর পরই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শহরের আদর্শ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত মঙ্গলবার জেলার শহরের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অংক শিক্ষক কবীর উদ্দিন ৪র্থ শ্রেণীর সাইমুন হক ওরফে ইফতি নমের এক ছাত্রকে কাঠের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত ছাত্রকে ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাম পায়ে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পুলিশের একটি সুত্র জানায়, আটকের পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় কবীর উদ্দিন মারপিটের ঘটনা স্বীকার করেছেন। সুত্র আরো জানায়, সে ছাত্র-ছাত্রীকে মারপিট করার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৮ বার কারন দর্শানোর নোটিশসহ এক দফায় সাময়িক ভাবে করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রের বাবা আজমল হক ঝান্টু বলেছেন তার ছেলের অবস্থা অপরির্বতিত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ