Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এলাকা অনুযায়ী ব্যবসা ও সেবা

বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলনে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৯ এএম

ব্রাঞ্চের চাহিদা অনুযায়ী সিএসআর কার্যক্রম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি বছর থেকে এলাকা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাবসা ও সেবা প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ। তিনি বলেন, দেশের একেক এলাকা একেক রকম। ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকেও এলাকা ভাগ রয়েছে। তাই এখন থেকে যে এলাকায় যে ব্যবসা বা যে সেবার চাহিদা থাকবে সে এলকার জন্য সেই ধরনের সেবা চালু করা হবে। একই সঙ্গে কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে। ব্রাঞ্চগুলো নিজ নিজ এলাকার চাহিদা অনুযায়ী সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তমাল এস এম পারভেজ বলেন, এখন থেকে কোন একটি বিশেষ এলাকা বা বিষয়ে সিএসআর কার্যক্রম হবে না। সকল ব্রাঞ্চ এই সুবিধা ভোগ করবে।
গতকাল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের নিয়ে বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম, পরিচালক ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এবং নুরুন নবী। এছাড়া ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. তালহা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে চলতি বছরে ব্যাংকের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, সার্বিক ব্যবসার উন্নয়ন তথা ঋণের গুনগত মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। গত বছরে দেশের বিভিন্ন ব্রাঞ্চের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে ৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৯টি ব্রাঞ্চকে পুরস্কৃত করা হয়। ব্রাঞ্চগুলো হলো- গোল্ড ক্যাটাগরিতে এডি ব্রাঞ্চ চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ, নন এডি ক্যাটাগরিতে রাজশাহী এবং গ্রামীণ ব্রাঞ্চ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের মুগরাপাড়া। সিলভার ক্যাটাগরিতে এডি ব্রাঞ্চ হিসেবে রাজধানীর হাতিরপুল, নন এডি ক্যাটাগরিতে চট্রগ্রামের জুবলী এবং গ্রামীণ ক্যাটাগরিতে হবিগঞ্জের নবীনগর। ব্রোঞ্চ ক্যাটাগরিতে এডি ব্রাঞ্চ হিসেবে রাজধানীর উত্তরা, নন এডি ক্যাটাগরিতে বগুড়া এবং গ্রামীণ ব্রাঞ্চ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি।
ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে থেকে সেরা কর্মকর্তা পুরষ্কার পান চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হারুন-উর-রশিদ।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত এমডি কাজী মো. তালহা বলেন, ২০১৭ সালে ২০১ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংক। চলতি বছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের বর্তমান গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ দিনেই নতুন করে আমানত এসেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। হিসাব খোলার হারও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
বর্তমানে ব্যাংকের ডিপোসিট ৪ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৬হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে ব্যাংকে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষনে রিটেইল ব্যাংকিং এবং এসএমই বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ শতাংশ। যা ২০১৭ সালে ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়া ২০১৯ সালে ব্যাংক শেয়ারবাজারে আসবে বলে উল্লেখ করেন কাজী মো. তালহা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ