Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ রিটের শুনানি আগামী রোববার

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতির শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি আগামী রোববার। গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের ওই রিট আবেদন এর আগে হাইকোর্টের চারটি বেঞ্চ প্রত্যাখ্যাত হয়। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার এই বেঞ্চ তা গ্রহণ করেছেন।
মামলাটি কার্যতালিকার ৮ নম্বরে ছিল । তা শুনানির জন্য এলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সাত দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এ সময় রিটকারী আইনজীবী কাছে জানতে চায়- রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে নিয়ে তার আপত্তি আছে কিনা। এরপর রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আপত্তি নেই জানালে আদালত মামলাটি শুনানির জন্য এ দিন রাখেন।
পরে ইউনুছ আলী সাংবাদিকের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তুতির জন্য সাত দিনের সময় আবেদন করেছিলেন। আদালত রোববার শুনানির জন্য রেখেছেন। প্রধান বিচারপতির শূন্যপদে নিয়োগ এবং আইনজীবীদের মধ্যে থেকে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতি পদে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে এর আগে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি এই রিট আবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা এবং নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দেয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়েছে সেখানে। সরকারের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর গত ১০ নভেম্বর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার দিলেও গত প্রায় আড়াই মাসে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়নি। ইউনুছ আলী বলছেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কারও ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে আপিল বিভাগে সরাসরি কোনো বিচারক বা প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ৮০ শতাংশের বেশি নিয়োগ আইনজীবীদের মধ্যে থেকে হলেও তাদের কেউ সরাসরি নিয়োগ পাননি। এভাবে নিয়োগের ফলে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করেন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ