Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাকরি ফিরে পেতে প্রতিবন্ধী আজাদের আকুতি

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নড়াইল জেলা সংবাদদাতা : ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকায়েপ প্রকল্পে রিসোর্স টিচারর্স (ইংরেজি বিষয়ে) হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করি। চাকরি পেয়ে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলা জীবনের পরিবর্তন আসে। নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান। পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ভালোই কাটছিল সময়। একান্ত কথোপকথনের সময় এরকম অনেক স্মৃতিচারণ করেন দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী (ইংরেজি বিষয়ে) প্রতিবন্ধী আবুল কালাম আজাদ। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সত্রহাজারী গ্রামের মৃত কাজী শফিউদ্দিনের ছেলে। বাবা পেশায় শিক্ষক ছিলেন। সে জন্যই প্রতিবন্ধী আজাদও শিক্ষকতা পেশাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষক হিসেবে সেকায়েপ প্রকল্পে যোগ দেন।
পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৩ সালের জুনে প্রতিদিনের মতো সেদিনেও আবুল কালাম আজাদ তার সহকর্মীকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আলমডাঙ্গার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, কিছুদূর যেতে না যেতেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের গÐি পেরিয়ে ভারতে যেতে হয় তাকে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হতেই ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তার চাপে কর্মস্থলে যোগ দিতে বাধ্য হন তিনি। এদিকে দুই মাস বেতন বন্ধ থাকায় চিকিৎসার ব্যয় ও সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় আজাদের পরিবারকে। বিনা মেঘে বজ্রপাত! কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর হঠাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠির মারফত জানতে পারেন তিনিসহ আরো বেশ কয়েকজনের চাকরি সামায়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো খবর শুনে অসহায় আজাদ তার শিশুসন্তান ও মাস্টার্সের (অ্যাকাউন্টিং) ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী স্ত্রী রহিমা খাতুনসহ দিশেহারা হয়ে পড়েন।
প্রতিবন্ধী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ইংরেজিতে ২০০৮ সালে অনার্স এবং ২০১১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার শিশুসন্তানের ভবিষ্যত ও অসহায় পরিবারের মানবেতর জীবন যাপনের কথা বিবেচনা করে যদি চাকরিতে স্থলাভিষিক্ত করেন, অথবা আমার স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী একটি কর্মের ব্যবস্থা করে দেন; তা হলে এই অসহায় পরিবার চির কৃতজ্ঞ থাকবে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ