Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এ্যালার্জি প্রতিরোধের প্রাকৃতিক উপায়

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এ্যালার্জি শব্দটা যদিও আজ আর কারও কাছে নতুন কিছু নয়, তবুও এটা সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা সবার জন্য অতীব জরুরী। কেননা শ্বাসকষ্ট, একজিমাসহ বহু চর্মরোগের জন্য দায়ী এই এ্যালার্জি। ধুলাবালি, ফুলের রেণু, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও ওষুধ মানুষের শরীরে প্রদাহজনিত যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সাধারণভাবে তাকেই আমরা এ্যালার্জি বলে জানি। এ্যালার্জি শব্দটা দুটি গ্রিক শব্দের সমন¦য়ে তৈরি, সম্মিলিতভাবে যার অর্থ দাঁড়ায় পরিবর্তিত প্রতিক্রিয়া।
কিছু এ্যালার্জেন (যা এ্যালার্জি তৈরি করে) এর নাম- মাইট (এমন কিছু যা পুরনো কাপড়ে জন্মায়) সিগারেটের ধোঁয়া, কুকুর, বিড়ালের পশম, প্রস্রাব, লালা, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া - ফুলের রেণু - বিশেষ কোন খাবার - ঘরের ধুলাবালি - হরমোন ইনজেকশন - তুলা বা পাটের আঁশ -চুলের কলপ- পোকা মাকড়ের হুল- রং- স্যাঁতসেঁতে কার্পেট - স্বভাব ইত্যাদি। তবে এ সবে সকলেরই যে এ্যালার্জি হবে তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু জিনিসে কারও কারও এ্যালার্জি হতে পারে।
এ্যালার্জিতে আক্রান্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
শরীরের যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সহজে এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয় সেগুলোর নাম ও উপসর্গ -
নাক নাসারন্ধ্রের ঝিল্লি বা আবরণ ফুলে চোখচোখ লাল হওয়া এবং চুলকানো কোনকান বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যথা করা, কানে কম শোনা।
ত্বক-প্রদাহজনিত চুলকানি বা একজিমা, হাইভস ফুসফুস শ্বাস প্রশ্বাস দ্রæত হওয়া, শোঁ শোঁ শব্দ করা।
এ্যালার্জির ঝুঁকি ও কারণ
শরীরে এ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার যে অস্বাভাবিক প্রবণতা তার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করতে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ভিত্তির ওপর জোর দিয়ে থাকেন। যেমন-
বংশগত কারণ : দেখা যায় এ্যালার্জি আক্রান্ত বাবা-মার সন্তানেরাও এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয় এবং তাদের এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা নন-এ্যালার্জিক বাবা-মার এ্যালার্জিক সন্তান অপেক্ষো অনেক বেশি প্রকট। বাবা-মা কেউ এ্যালার্জিতে আক্রান্ত না থাকলেও সন্তানের মাঝে ১৫% আশঙ্কা থেকে যায়। বাবা-মা কেউ যদি এ্যালার্জিতে আক্রান্ত থাকে তবে সন্তানের ৩০% আশঙ্কা থাকে কিন্তু উভয়েই আক্রান্ত থাকলে তা বেড়ে ৬০%-এর অধিক দাঁড়ায়।
পরিবেশগত কারণ : ঋতুজনিত কারণে (বিশেষ করে শীতকালে) বাতাসে যখন ফুলের রেণু বেশি থাকে তখন এ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বাতাস দূষণের পরিমাণ বেশি হওয়াতে সেখানে এর প্রকোপও বেশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন