Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবারও প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:০০ এএম

আবারও প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন মোঃ আবদুল হামিদ। গতকাল রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সদস্যরা তাকেই চূড়ান্ত করেছে। তাই দ্বিতীয় মেয়াদেও প্রেসিডেন্ট থাকছেন আবদুল হামিদ। আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি দেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে আবদুল হামিদকে প্রেসিডেন্ট করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনও প্রার্থী না থাকায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’ সভায় ওবায়দুল কাদের, আবদুল হামিদের নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন জানান তোফায়েল আহমেদ। 

২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২৪ মার্চ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন আবদুল হামিদ। পরে ২২ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২৪ এপ্রিল। আগামী ২৩ এপ্রিল তার ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। আবদুল হামিদ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্পিকার হিসেবে দুইবার দায়িত্ব পালন করেন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১০ ফেব্রিুয়ারি।
সুত্রমতে, যে কারণে আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাখা তা হলো- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সামাল দিয়েছেন। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। শুরু হয় দেশজুড়ে অস্থিরতা ও তান্ডব। পেট্রোল বোমসহ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক মানুষ দগ্ধ এবং হতাহত হন। দেশের অস্থিরতা দেখে আওয়ামী লীগ মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথাও বলছিল। এসব পরিস্থিতি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেন প্রেসিডেন্ট। ২০১৪ সালের মতো আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠতে পারে। সে রকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরীক্ষিত, আস্থাভাজন এবং সাহসী রাজনীতিবিদ মো. আবদুল হামিদকেই পছন্দ আওয়ামী লীগের।
সুত্র আরো জানিয়েছেন, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বা ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির আগ পর্যন্ত সে সময়ের প্রেসিডেন্ট পক্ষ থেকে বিরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের। এই বিবেচনায় এই পদে পরিবর্তন আনা হয়নি।
সংসদে বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের ইচ্ছাতেই নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট। কারণ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার এখতিয়ার নেই সদস্যদের। সেই হিসাবে ক্ষমতাসীন দল যার মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে, তার বাইরে কারও নির্বাচিত হয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
১৯৯১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হলেও এরপর থেকে কোনো নির্বাচনেই ভোট হয়নি। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জিতেছেন ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীরা। এবারেও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। আবার দলের প্রতি আনুগত্য থাকলেও তিনি এই পদটিকে দলীয়করণের ঊর্ধ্বে রাখতে পেরেছেন বলেই ধারণা করা হয়। আর বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে তার বিষয়ে তেমন কোনো সমালোচনা আসেনি এখন পর্যন্ত। আবদুল হামিদ স্পিকার থাকাকালেও তিনি বিরোধীদলের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যের অধিকারী আবদুল হামিদ জনগণের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন। তিনি বহুবার বিষয়টি বলেছেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তার ভালো লাগে না। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তিনি বিশেষ করে নিজ এলাকার লোকদের জন্য তার দুয়ার উন্মুক্ত রেখেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে এখন আবদুল হামিদকে নিয়ে ২১ মেয়াদে ১৭ জন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করেছেন।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:২০ পিএম says : 0
    congratulation ! god bless u.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ