Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেরপুরে শিশু রাহাত হত্যা মামলায় ৩জনের ফাঁসি, ১জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : আজ ২৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া বারোটার সময় শেরপুরের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর শিশু আরাফাত রহমান রাহাত হত্যা মামলার এক রায়ে রাহাতের খালু ও মুল পরিকল্পনাকারী আ. লতিফ, ভাড়াটে খুনি আসলাম বাবু ও রবীনকে ফাঁসি এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় অপর আসামী ইমরানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মো. সাঈদুর রহমান খান। আজ দুপুর সোয়া বারোটার সময় জনাকীর্ণ আদালতে তিনি এ রায় পাঠ করে শোনান।
উল্লেখ্য অর্থের লোভ সামলাতে না পেরে গত বছর ২ আগস্ট রোববার বিকেলে শেরপুর জেলা শহরের শহীদ দারোগা আলী পৌর পার্ক এলাকা থেকে খালু আ. লতিফ ও তার অপর সহযোগীরা শহরের বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং গৃদানারায়ণপুর এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে আরাফাত রহমান রাহাতকে অপহরণ করে গারো পাহাড়ের মধুটিলায় নিয়ে হত্যা করে বনের মধ্যে ফেলে রেখে দেয়। এতে তার লাশ শৃগাল কুকুর খেয়ে ফেলে। পরে পুলিশ লতিফ, মুল খুনি আসলাম বাবু, রবীন, ও ইমরান হোসেনকে আটক করে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাহাতকে অপহরণ ও খুনের কথা শিকার করে। পুলিশ ওই বছরের ৮ আগস্ট গারো পাহাড় থেকে রাহাতের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩ নভেম্বর ওই ৪ জনকে বিবাদী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের পর জেগে উঠে শেরপুরবাসী। শেরপুরের ছাত্র, শিক্ষক ও পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ সোচ্চার হয়ে ওঠে এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পালন করা হয় মানব বন্ধন, মিটিং মিছিল ও মোমবাতি মিছিলসহ নানা কর্মসূচী।
এ কারণে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারীসহ আইন বিভাগের কর্মকর্তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। আর এ কারণে অভিযোগ দায়েরের ৯ কার্য দিবসেই মামলার ২৭ সাক্ষীর সবারই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৮ ধারা মোতাবেক অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩জনকে ফাঁসি ও একই ধারায় এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সহযোগিতা করায় অপর আসামী ইমরানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সাথে সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ের পরই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাহাতের বাবা খোকন মিয়া ও তার স্ত্রী। তারা বলেন এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা নেন সরকার। রায়ে খুশী হয়েছেন এলাকাবাসী ও নাগরিকরা। এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বলেন শেরপুরের নাগরিকরা খুবই খুশি হয়েছে এ রায়ে। এ ধরনের একটি রায়ই শেরপুর বাসীর কাম্য ছিল।
রায়ের পরপরই সাংবাদিকদের কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি ও সরকারী কৌশলী এডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বুলু জানান, তারা এ রায়ে খুশি ও সন্তুষ্ট। এ ধরনের রায়ই তাদের প্রত্যাশা ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ