নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বেকি জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দুপুরে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পাঁচহাট গ্রামের আব্দুল মোমিন তালুকদারের মধ্যে বেকি জলমহাল দখল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে দু পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত জামাল মিয়া (৫০), সাবান মিয়া (৪০), আবু বক্কর (৩৫), নোমান মিয়া (১৮), মামুন মিয়া (৩০), মজত আলী (৫০), মঙ্গল মিয়া (৫০), মুশফিক মিয়া (২৪), সোবান মিয়া (৪০), মঞ্জিল মিয়া (৪৮), মুখলেছ (৩৫), বুলবুলকে (২৮) কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদেরকে খালিয়াজুরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন তালুকদার জানান, বেকি জলমহাল নিয়ে নিন্ম আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। বর্তমানে এটি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু পুলিশ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে প্রতিপক্ষকে মাছ মারার সুযোগ দিয়ে বিবাদের সৃষ্টি করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমার লোকজন জলমহালে মাছ মারতে গেলে মোমিন তালুকদারের লোকজন তাদেরকে মারধর করেছে।
খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হযরত আলী বেকি জলমহাল নিয়ে দু পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।