Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইতিহাসের পাতায় রোহিঙ্গা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা, একবিংশ শতাব্দীতে এমন একটি জনগোষ্ঠীর নাম যারা শত শত বছর ধরে বর্তমান মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন, যার পূর্বতন নাম আরাকান অঞ্চলে বসবাসরত থাকলেও এখন তারা এক অবাঞ্চিত রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠীর নাম। আজ এ জনগোষ্ঠী করুণার পাত্র। তারা নিজের দেশ এবং ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায়। মিয়ানমারের সরকার, সেনাবাহিনী, আর উগ্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের ন্যূনতম মানবিক অবস্থায় রাখেনি। বহু বছর সূ² পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গাদের ভিটায় ঘুঘু চড়িয়েছে। এবার, অর্থাৎ আগস্ট ২৫, ২০১৭-তে যা হয়েছে তা হঠাৎ করে হয়নি। এবার গণহত্যা, ধর্ষণ, আর অগ্নিসংযোগ করে যেভাবে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করেছে তা হিটলারের ‘ফাইনাল সল্যুউশনের’ হুবহু আধুনিক রূপ। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে এ হতভাগ্য জনগোষ্ঠীকে।
রাখাইন অঞ্চলে কত ‘রোহিঙ্গা’ জনগোষ্ঠী ছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায় যে, প্রায় বিশ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল যার প্রায় পনের লাখ মিয়ানমারের বাইরে রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় আট লাখ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার ১৯৭৪ সালের পর হতেই প্রকাশ্যে এদের বহিরাগত বিশেষ করে ‘বাঙালি’ বলে চিহ্নিত করা শুরু করে। একই সাথে, যেহেতু এই জনগোষ্ঠীর ৯৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়াতে, সার্বিকভাবে ‘বাঙালি’ এবং মুসলমান হিসেবে যেভাবে ঘৃণা এবং বিতৃষ্ণা ছড়ানো হয়েছে সে কারণে মিয়ানমারের বৃহত্তর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকছে। তাদের ধারণা, এরা এক বিপজ্জনক জনগোষ্ঠী। অথচ মিয়ানমারের বহু উপজাতি আজ পর্যন্ত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিগত ৭০ বছর গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। অনেক উপজাতি গোষ্ঠী নিজেদের মুক্তাঞ্চল তৈরি করতে পেরেছে। সে তুলনায় রোহিঙ্গারা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য কিছুই করতে পারেনি। এমনকি কারেন, সান, কাচিনদের মত শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের যতগুলো উপজাতি জনগোষ্ঠী তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এবং নিরীহ বলে প্রমাণিত। বাংলাদেশে যে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে রয়েছে তাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করলেই এ বক্তব্যের সত্যতা মিলবে।
২০১৭ সালে আরসা (অজঝঅ : অৎধশধহ জড়যরুধমধ ঝধষধাধঃরড়হ অৎসু) নামে যে হামলার প্রচার মিয়ানমার সফলভাবে করতে পেরেছে তা অন্তত সামরিক কৌশলগত বিবেচনায় সম্ভব নয়। মিয়ানমারের ভাষ্য অনুযায়ী, আরসা ৩০টি পুলিশ এবং সামরিক ইউনিটের সদর দফতরে দৈবভাবে হামলা চালিয়েছেন। রাখাইনের এ অঞ্চলের ভূমি বিন্যাসে প্রতীয়মান যে, কথিত হামলা ১১২ স্কয়ার কি:মি: ব্যাপ্তি ছিল। এমন হামলা, আমার মতে, উচ্চশিক্ষিত সেনাবাহিনীর পক্ষেও সম্ভব নয়। মিয়ানমার ব্যাপক মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সদর্পে রোহিঙ্গা নিধন এবং মানবতাবিরোধী গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের কাজটি করেছে। এ জন্য জাতি হিসেবে মিয়ানমার মোটেও অনুতপ্ত নয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং বেসামরিক প্রশাসন রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের ইতিহাসকেও স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে ১৮২৪-কে বেসলাইন ধরা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের সংজ্ঞায় ১৮২৪ সালে প্রথম অ্যাঙ্গোলে-বার্মা যুদ্ধে আরকান দখলের আগে যারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দা ছিল তারাই শুধুমাত্র নাগরিক এবং পরের জনগোষ্ঠী নয়। মিয়ানমারের সরকার এবং সামরিক বাহিনী প্রধানের যুক্তি রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ব্রিটিশ রাজ এ অঞ্চলে চাষাবাদ এবং অন্য কাজের জন্য নিয়ে এসেছিল। তাদেরই বংশধর এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। সে যুক্তি মেনে নিলেও তাও প্রায় দু’শত বছরের আইন কাছাকাছি, প্রায় চার হতে পাঁচ পুরুষ আগের কথা। আধুনিক বিশ্বে এমন ধরনের আইন বা যুক্তি আর কোনো দেশে রয়েছে বলে মনে হয় না। এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অথবা ইউরোপের বহু দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠীকে ওই সব দেশ হতে বের করতে হয়। এ যুক্তি ধোপে টেকে না।
যা হোক, সমগ্র বিশ্ব যেভাবে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, তার পেছনে রোহিঙ্গাদের শত শত বছরের ইতিহাস বিবেচনায় রয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস প্রায় ন্যূনতম পক্ষে বারোশত হতে পনের শত বছর পুরাতন, অন্তর বিভিন্ন ঐতিহাসিক তেমনই মনে করে একাধিক প্রমাণ হাজির করেছেন। আরাকান তথা রাখাইন অঞ্চল যার ন্যূনতম বিস্তৃত, স্বাধীন ভূখÐ, ঐতিহাসিকভাবে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত স্বাধীন রাজ্য ছিল, যার পরিধি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের রামু পর্যন্ত। উত্তরে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মনিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে কোনো কোনো ইতিহাসে পাওয়া যায়। এ অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন অষ্টম শতাব্দীতে যাদের সংস্পর্শে এ অঞ্চলের বহু বাসিন্দা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। উত্তর রাখাইল প্রভাবিত হয়েছিল আরব বণিকদের চট্টগ্রাম, মংডু এবং কক্সবাজার অঞ্চলে বাণিজ্যের পরিধি বাড়াবার সময় হতে।
বর্তমান রোহিঙ্গা শব্দটি ঐতিহাসিক যার উচ্চারণ ছিল ‘রওয়াঙ্গিয়া’। ঐতিহাসিকরা মনে করে, এই নামটি ‘রাখাঙ্গা’ অথবা ‘রোশাঙ্গা’ হতে উদ্ভাবিত হতে পারে। রোহিঙ্গা নামটি ব্রিটিশ কর্তৃক আরাকান দখলের পূর্ব হতে ব্যবহার হয়ে আসছিল। ঐতিহাসিক ফ্রান্সসিস বুকানান হ্যামিলটন ১৭৯৯ সালে লিখেছেন যে, এ নাম রাজকীয় বার্মাতে প্রচলিত ছিল। তিনি মুসলমান আরাকানবাসী রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। তিনি ১৭৯৪ হতে ১৮১৫ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। অপর জার্মান বাইবেল বিশারদ, জোহান সভারিক ভেটার (১৭৭১-১৮২৬) লিখেছেন ‘রোহিঙ্গা’ একটি ভিন্ন ধরনের ভাষা-রাজকীয় বার্মার এ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। এমনকি বিংশ শতাব্দীতে স্বাধীন বার্মার প্রথম প্রধানমন্ত্রী উ নু উত্তরা রাখাইন অঞ্চলের ওই জনগোষ্ঠীকে ‘রোহিঙ্গা’ নামেই পরিচিতি দিতেন। মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসসহ অন্যরা আজও এ অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ‘রোহিঙ্গা’ নামই ব্যবহার করছে।
চতুর্থ শতাব্দীতে আরাকানে ভারতীয় মূল্যের রাজত্বের গোড়াপত্তন নয়। ওই সময় উত্তর আরাকানের রাজধানী ছিল ‘ধানিওয়াদি’। এ নামটি উৎপত্তি হয় পালি ভাষায় শব্দ ‘ধনবতী’ হতে। এ অঞ্চলটি ছিল ওই সময়ে ধান উৎপাদনের সবচেয়ে উপযোগী অঞ্চল। রাজধানী ‘ধানওয়াদী’ ছিল বর্তমান সিতওয়ে (তৎকালীন আকিয়াব) এর ১৮০ মাইল উত্তর-পূর্বে কালাদান নদী এবং থারে চয়াং (থারে ঝরনা) এর মাঝামাঝি। পরে আরকানের রাজধানী ওয়েসঙ্গালীতে স্থানান্তরিত করা হয়। এখানে ব্যবহৃত সংস্কৃত ভাষার সাথে ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির মিল থাকাতে ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে আরকানে তখনও বার্মিজদের কোনো আধিপত্য ছিল না এবং আরাকানের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল ভারতীয় মূলের শাসকদের মাধ্যমে।
ভৌগোলিকভাবে আরাকান বঙ্গোপসাগরের তটে হবার কারণে এখানে বহিরাগতদের সংমিশ্রণ হয়েছিল অতিসহজে। ভারতের মৌর্য বংশের শাসনকালে বিশেষ করে সম্রাট অশোকের সময়, বর্তমানের চট্টগ্রামসহ আরাকান অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এরপর ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সম্পর্ক স্থাপিত হয় ইসলাম ধর্মের প্রচারের পূর্বে আরবদের সাথে।
ঐতিহাসিকরা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, আরাকান অঞ্চলে বাঙালি মূলের মুসলমানদের আগমনের সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ‘মারুক ইউ’ রাজত্বের শাসক রাজা নিমস মং-এর (১৪৩০-৩৪) সময় হতে। ‘মারুক ইউ’ মধ্য আরাকানের ঐতিহাসিক শহর। মিনস মং অন্তর্দ্ব›েদ্ব পরাজিত হবার পর বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ শাহ-এর আশ্রয়ে থাকেন প্রায় ২৪ বছর। ২৪ বছর দেশান্তরী হবার পর সুলতান জালাল উদ্দিনের সামরিক শক্তির সহায়তায় রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেন। ওই সময় সুলতানের সৈনিকদের সাথে বাংলার সদস্যদের আগমন হয় এবং আগতরা এই দরবারে থেকে গিয়েছিল। ‘মারুক ইউ’ রাজত্ব অনেক সময় পর্যন্ত বাংলার সুলতানের করদ রাজ্য হিসেবে ছিল। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে ওই সময়কালে মূল বুদ্ধিষ্টরা মুসলমানদের উপাধি গ্রহণ করেন এবং বাংলার সুলতানদের মুদ্রাও ব্যবহার করেন, যার প্রমাণ আরাকান হতে উদ্ধার করা স্বর্ণমুদ্রা যার পিঠে একদিকে আরাকানী বার্মিজ ভাষা অপরদিকে ফারসি ভাষায় লেখা খোদিত রয়েছে।
সুলতান জালালউদ্দিনের মৃত্যুর পর এবং আরাকান থ মং-এর ‘মারুক ইউ’ রাজত্বের পতনের পর থ মং-এর বংশধর ১৪৩৭-এ রামু এবং ১৪৫৯-এ চট্টগ্রামের বহু অঞ্চল দখল করে এবং ওই সময়কাল হতেই এ অঞ্চলের জনগণ আরাকান অঞ্চলে সহজে যাতায়াত এবং অনেকে বসতিও স্থাপন করে। তবে ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রামসহ দক্ষিণ-পূর্বে সম্পূর্ণ অঞ্চল পুনঃদখল করেন মোগল সৈনিকরা। ওই সময়েই আরাকানে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। আরাকানের বৌদ্ধ-শাসকরা মোগলদের অনুকরণে নিজেদের পদবীতে যোগ করে বহু ফারসি শব্দ। মোগল শাসনের শেষ সময় পর্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষের অবাধ যাতায়াত ছিল আরাকানে।
সপ্তদশ শতাব্দীতে আরাকানে বসবাসরত পর্তুগীজ জলদস্যুরা প্রায়ই বাংলায় অভিযান চালিয়ে লুটপাটে লিপ্ত ছিল। এদের কাহিনী বাংলা সাহিত্য বহুভাবে উল্লেখ রয়েছে এবং হার্মাদ আর বর্গীদের নিয়ে বাংলা পুঁথি ও ছড়া এখনও গ্রামের মায়েদের মুখে হয়তো শোনা যায়। ওই সময়ে পর্তুগীজরা বহু বাঙালিকে ধরে নিয়ে আরাকানে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করেছে যার মধ্যে পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিখ্যাত হয়ে উঠা নামও রয়েছে। এমনই একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক আলাওয়াল (১৬০৭-১৬৭৩)।
আলাওয়ালের পিতা ছিলেন তৎকালীন ফতোয়াবাদ (ফরিদপুরের সন্নিকটে) রাজার দরবারের মন্ত্রী। আলাওয়াল মালেক জয়েশ মোহাম্মদের রচিত চিতোরের রানী ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে রচিত পদ্মাভাত কাহিনী পুঁথি আকারে প্রকাশ করেন। বাল্যবয়সে আলাওয়াল তার পিতার সাথে নৌপথে সফরকালে ফরিদপুরের সন্নিকট হতে পর্তুগীজ দস্যুরা অপহরণ করে এবং আরাকানে বিক্রি করে। আলাওয়াল পরবর্তীতে রাজদরবারের বডিগার্ড হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুবাদে দরবারে পরিচিত হয়ে উঠেন। ওই সময়ে সুলেমান নামক মারুক ইউ-এর শাসক সান্দা তুধামার দরবারের মন্ত্রী আলাওয়ালকে নিজের তত্ত¡াবধানে রাখেন। আলাওয়াল কবি হিসেবে সমগ্র আরাকানে বিখ্যাত হয়ে উঠেন। ওই সময়, ১৬৫৯ সালে তিনি দরবারের পূর্বতন কবি দৌলত কাজী (১৬০০-১৬৩৮) রচিত অসম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ ‘সতী ময়না’র রচনা শেষ করেন। দৌলত কাজীও ছিলেন চট্টগ্রাম রাউজানের বাসিন্দা। তার জন্মস্থানে কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হতে পেরে তিনি আরাকান রাজত্বে চলে যান, পরে রাজদরবারে ঠাঁই পান। তিনি তাঁর কাব্য ও কবিতা বাংলায় রচনা করেছিলেন, যদিও তিনি আরাকান দরবারে ছিলেন। তারই অভধী (তৎকালীন হিন্দুস্থানের ওউধ রাজ্যের ভাষা) ভাষায় প্রথম রচিত ‘লোরচন্দ্রানী ও সতীময়না’ কাব্যগ্রন্থদ্বয় যা তিনি মৃত্যুর পর্বে শেষ করতে পারেননি, পরবর্তীতে শেষ করেছিলেন কবি আলাওয়াল।
(চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন