Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সন্ত্রাসী আইএসের ভাষায় মাজারের বিরুদ্ধে উস্কানী দেয়া হচ্ছে: আওয়ামী ওলামা লীগ

হযরত শাহজালাল (রহ.) শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমানের মাজার ভাঙার কথাও বলা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আখেরী রসূল হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে প্রতি বছর ওহুদের শহীদগণের মাজার শরীফ যেতেন ও জিয়ারত করতেন। ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে ক্বিরামগণও মাজার শরীফে যেতেন এবং যিয়ারত করতেন। যেখানে স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ যেতেন এবং জিয়ারত করতে অনুমতি দিয়েছেন সেখানে দেশের সব মাজার শরীফের ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দেয়া মানে স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ অমান্য করার এবং অবমাননাকারীরা মুরতাদ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি পীরজাদা পীর আলহাজ্জ মাওলানা আখতার হুসাইন বুখারী, সেক্রেটারী আলহাজ মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, কার্যকরী সভাপতি হাফেয মাওলানা আব্দু সাত্তার, মাওলানা শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, হাফেয মাওলানা আব্দুল জলিল, মাওলানা আব্দুর রহিম পীরসাহেব (শেরপুর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এ ইবনে শায়বা হতে বর্ণিত আছে, “রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি বছর ওহুদের শহীদগণের মাজার শরীফ জিয়ারত করতে আসতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম, যেমন তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছিলে তেমনি পরকালে উত্তম বাসস্থান লাভ করেছ। শাফেয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম শাফেয়ী (রঃ) তিনি যখন কোন মাসআলা সমস্যার সমাধানে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তেন তখন ইমামে আযম ইমাম আবু হানিফা নোমান বিন সাবেত কুফী (রঃ) এর মাজার শরীফে এসে জিয়ারত করে তখায় দু’রাকাত নামাজ পড়তেন।(আন্ নাসিয়াতুলিল ওহাবী)। ইমামে রাব্বানী শায়েখ আহমদ সিরহিন্দী ফারুকী মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রঃ) সুলতানুল হিন্দ হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী আজমিরী (রঃ) এর মাজার শরীফ জিযারত করতে গিয়েছিলেন। (সীরাতে মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রঃ))। স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারত করতে সারাবিশ্ব থেকে মুসলমানরা মদীনা শরীফ যান। অর্থাৎ মাজার শরীফ মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনার সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত।
তারা আরো বলেন, ওহাবী, সালাফী ফিরকা ছাড়া এদেশের সকল মানুষ ওলী আউলিয়া ভক্ত। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা নেত্রী সবাই হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরান (রহঃ) মাজার শরীফ জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। সারাদেশে হাজার হাজার আউলিয়ায়ে ক্বিরামের মাজার ছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মাজার, জাতীয় তিন নেতার, জিয়াউর রহমানের মাজারসহ আরো অনেক নেতাদের মাজার। যেসব মাজারের সাথে দেশের দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগ অনুভূতি ভালবাসা জড়িত। মাজার ভেঙে ফেলার উস্কানীর মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগ ও ধর্মীয় অনূভ’তির উপর আঘাত হেনেছে আইএস মতাদর্শী বাবুনগরী, ফয়জুল্লাহ ও হারুন এজহার। এ রূপ আঘাত ফৌজধারী অপরাধ। এসব হেফাযতি সন্ত্রাসের নায়কদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দেশে আইএসের উত্থান থেকে রক্ষা করতে হবে। কারণ আইএস সন্ত্রাসীরা নবী রসূল ও আউলিয়ায়ে ক্বিরামের মাজার শরীফ ভাঙ্গার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। হেফাযতিরা এদেশে আইএসের কার্যক্রম শুরু করে দেশের সিরিয়া, আফগানিস্তান পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশ ধ্বংস করতে চায়। হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার শরীফে এরাই হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছিল। সেই বিচার এখনো হয়নি। এদেরকে সেই মামলায় আটক করতে হবে। বাবুনগরীদের নেপথ্য নায়ক সন্ত্রাসী আইএস হোতাদের ও তাদের নেটওয়ার্খ খুজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওলামা লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ