Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হংকংয়ের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনুকূল। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত শতভাগ অর্থ এবং লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে ডাবল টেক্স সিসটেম প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হংকং-এর বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার হংকং-এর হোটেল শেরাটন এইচকে-তে প্রাইম সোর্স ফোরাম আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘১৩তম প্রাইম সোর্স ফোরাম’ এ ‘দি গেøাবাল ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কীনোট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুন্যহাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। এ মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রফতানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশ্বের প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি করে আয় করছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। এ সময় মোট রফতানির পরিমান দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে তৈরী পোশাক রফতানি করে আয় হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের অর্থনীতি দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। বড়বড় প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রফতানিকারক দেশ। দেশের রফতানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরী পোশাক রফতানি থেকে। জিডিপিতে এ সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। এ শিল্পে জনবল প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। দেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। ইউএসগ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল স্বীকৃত ৬৭টি গ্রীন ফ্যাক্টরি রয়েছে। নিবন্ধিত রয়েছে আরো ২২০টি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ শুধু ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশই হবে না, বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। ডেভলপিং কান্ট্রিতে পরিণত হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের ৮৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৮তম অর্থনীতি এবং ২০৫০ সালে ২২তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ