পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকাসহ সদর মডেল থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেলকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত বুধবার মধ্যরাতে বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় তার ফ্ল্যাট বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে এক নারীকে আটকে রেখে প্রায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেলের বিরুদ্ধে।
নারায়নগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশ যাতে নিরীহ মানুষকে হয়রানী না করে সে জন্য আমরা কাজ করছি। জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শুধু মাদক ব্যবসায়ী নয়, পুলিশের কোন কর্মকর্তা বা সদস্য মাদক ব্যবসায় জড়িত বা সেল্টার দেন কিনা সে বিষয়েও সোর্স নিয়োগ করা হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য মাদক ব্যবসা বা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবেন না বলে আমি আশা করি। তবে কেউ এ ধরনের কোন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হক। এদিকে অভিযোগ রয়েছে স¤প্রতি এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেল একজন নারীকে আটকে রেখে প্রায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছিলেন। তার স্বজনরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি বিভিন্ন লোককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন বলে তথ্য বেরিয়ে আসছে।
পুলিশের এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেল নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এলাকার লোকজন জানার পরও কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তিনি বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কামরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকেন। বন্দর থানা থেকে বদলী হয়ে কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় যোগদান করেন তিনি।
রুবেল মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এমন অভিযোগে ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তার বন্দরের ফ্ল্যাট থেকে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে সদর থানার ভেতর তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এএসআই রুবেলের বন্দরের ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার জিয়াউল জানান, প্রায় সময় এএসআই রুবেল বিভিন্ন ধরনের লোকজনকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আটক করে এনে ফ্ল্যাটে রাখতেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলতেন না।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সদর থানায় তার ব্যাগ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি তার বাসা থেকেও ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।