Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্রান্তিকালে বিএনপিতে স্বস্তি সক্রিয় হচ্ছেন নিষ্ক্রিয় নেতারা

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন: রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বিএনপি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এক মাসের বেশি সময় ধরে কারাবাসে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার কারাজীবন দীর্ঘায়িত করে, নির্বাচনে লড়তে আইনি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দলে ভাঙন ধরানোর একটি সরকারি তৎপরতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন দলের নেতারা। দলের কিছু নেতাকে নির্বাচনে নিয়ে একতরফা নির্বাচনকে বৈধ ও বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যয়ের খাদে ফেলতে চায় সরকার। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা হয়ে দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য। একদিকে দলের নেতারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন, অন্যদিকে নিষ্ক্রিয় নেতারা সক্রিয় হচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা দ্ব›দ্ব-কোন্দল ও ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলিয়ে দিয়েছে বিএনপি নেতাদের। চেয়ারপারসনের জামিন বিলম্ব নেতাদের নিয়ে আসছে ঐক্যের এককাতারে।
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিএনপিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ব্যাপক। জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে বছরের পর বছর ধরে পদ-পদবী, পাওয়া না পাওয়া, প্রভাব বিস্তার, রাগ-ক্ষোভ, মান-অভিমানসহ নানা কারণেই দ্ব›দ্ব-কোন্দল চলে আসছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাত্রাও কম নয়। কিন্তু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের সাজা ও তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা নেতাকর্মীদের ভুলিয়ে দিয়েছে পাওয়া-নাপাওয়ার সব হিসাব-নিকাষ। দূর করে দিয়েছে সকল দূরত্ব। উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বের ঘটনা উল্টো সাংগঠনিকভাবে শাপেবর হয়েছে বিএনপির। ওয়ান ইলেভেনের পর কথিত সংস্কারপন্থি নেতাদের বিষয়ে দলের কোন সিদ্ধান্ত না থাকায় বড় একটি অংশ এখনও নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। আবার দলে সঠিক মূল্যায়ন না পেয়ে নীরবে দূরে সরে গেছেন বহু নেতা। দলের শীর্ষ নেতাদের বিমাতাসূলভ আচরণ, অরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সর্বোপরি সিন্ডিকেট নির্ভর কর্মকান্ড হতাশ হয়েই এসব নেতা রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে পদাবনতি হয়েছে মনে করে রাগে-ক্ষোভে দলের সকল কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন অনেকেই। তবে তাদের অনেকে খালেদা জিয়ার কারাদন্ডকে কেন্দ্র করে রাগ-দুঃখ ভুলে রাজপথে নেমেছেন। দীর্ঘদিনের রাগ-ক্ষোভ ও মান-অভিমান ভুলে নিষ্ক্রিয় ও দূরে সরে থাকা নেতারাও সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন আন্দোলন কর্মসূচিতে। সেই সঙ্গে দলের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীরা। যার প্রভাব পড়ছে দল, আন্দোলন ও নেতাকর্মীদের মধ্যে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনে প্রতিদিনই অংশগ্রহণ বাড়ছে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদের। গ্রেফতার, হুমকি, নির্যাতনের পরও কমছেনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের সংখ্যা।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, এরশাদ আমলে সিনিয়র নেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চাপে ও লোভে পড়ে দল ছেড়েছিলেন। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী অসাংবিধানিক সরকারের আমলেও চাপে পড়ে অনেক নেতাই সংস্কারপন্থি সেজেছিলেন। এবার বিপুল সংখ্যক মামলার কারণে আইনি জটিলতায় ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন নেতারা। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করছেন না কোনো নেতা। এমনকি নেতাদের মধ্যে নেই কোন রহস্যময় আচরণও। কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সবাই একাট্টা। লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি সবার আনুগত্যও প্রশ্নহীন। দলের বহিষ্কৃত এবং নানা কারণে নিষ্ক্রিয় নেতারাও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দলে ফেরার।
অন্যদিকে ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন মহাসচিব সংস্কারপন্থী আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারী হিসেবে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন কয়েকজন সাবেক এমপি। আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার না হলেও অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন বিএনপির রাজনীতিতে। বিগত এক দশকের বিভিন্ন সময়ে সংস্কারপন্থি এসব নেতা ডালপালা ছড়িয়েছে নানা গুজব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারের তরফে তাদের অনেকের সামনেই এসেছিল টোপ। চাপের মুখেও পড়েছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু অন্য কোনো দলে যোগদান, সরকারের সহায়ক হিসেবে যুক্ত হননি বিএনপি বিরোধী কোনো তৎপরতায়। তারই ফল হিসেবে কয়েকজন সংস্কারপন্থি নেতাকে দলে ফিরিয়েছে বিএনপি। অন্যরাও অপেক্ষা করছেন ঘরে ফেরার।
২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলে বহিষ্কার হয়েছিলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ হান্নান। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রত্যাহার হয়নি তার বহিষ্কারাদেশ। পদ-পদবী না থাকলেও ছেড়ে যাননি কর্মী-সমর্থকদের। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে ভূমিকা রাখছেন। সহযোগিতা করছেন নির্যাতিতদের। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর চেয়ারপারসন ও দলের দুর্দিনে আরও জোরদার করেছেন তৎপরতা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনসহ রাজধানীতে প্রথম পোস্টারিং করেছেন তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বেশ কয়েক বছর দলের বাইরে। সিনিয়র নেতাদের কড়া ভাষায় সমালোচনা কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে সক্রিয় হন সাবেক এ এমপি। এখন প্রত্যেকটি কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত হননি বলে এতদিন নিজেদের আড়াল করে রেখেছিলেন এমন অনেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা একসময় খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে অবমূল্যায়নের শিকার হয়ে রাজনীতিতে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পদ হারিয়ে সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সহ প্রচার সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগকারী শামীমুর রহমান শামীম, সহ মানবাধিকার সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগকারী সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়াও মান-অভিমান ভুলে দলীয় কর্মসূচিতে এখন পুরোমাত্রায় সক্রিয়। পদবঞ্চিত ছাত্রনেতা সাইদ ইকবাল টিটু, বেনজীর আহমেদ টিটো, তরুণ দে’র মতো অনেকেই সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন। সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসরের পর রাজনীতিতে আসা নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অনেকেই এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন। এখন তাদেরকেও রাজপথে পাচ্ছে বিএনপি। তবে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে যারা সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, কর্মী-সমর্থকদের ওপর প্রভাব রাখেন কিন্তু দলে পদ-পদবি না পেয়ে অনেকেই এখনও নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আক্কাস নাদিম, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মোস্তফা খান সফরী, আনোয়ারুল হক রয়েল, গোলাম হাকিম মঈন, আবু সাঈদ, জাকির হোসেন, আবদুল কুদ্দুসসহ অনেকেই। দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা তাদের হাত ধরে উঠে এলেও তাদের মূল্যায়ন হয়নি। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে দলের সংস্কারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন দলটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও অন্য কোন দলে যোগ দেননি। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘদিন দেনদরবারের পর শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সবুজ সংকেত পেয়েছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান আইনী জটিলতার কারনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন নগর বিএনপি এরশাদ উল্লাহ। পরে মোরশেদ খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। দীর্ঘ ৫ বছর বিরোধ মিটিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সবুজ সংকেত পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গসহ সাংগঠনিক নানা কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতারাও ফিরতে চাইছেন দলে। এ জন্য তারা নানা ফোরামে আলাপ-আলোচনাসহ মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। নিজেদের ভুল স্বীকার করে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় বাসায় ছুটছেন। পোস্টারিং করছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে। দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন ঐক্যের মনোভাবে আশান্বিত দলটির শীর্ষনেতৃত্ব।
দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, পদ-পদবী বঞ্চিত, নিষ্ক্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন পাওয়ার একটি বড় সুযোগ এখন। যারা সক্রিয় হবেন তারা মূল্যায়িত হবেন, যারা নিষ্ক্রিয় থাকবেন তারা হারিয়ে যাবেন। দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, স্থানীয় পর্যায়ের বিভেদগুলো মিটিয়ে ফেলতে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তাগিদ দেয়া হয়েছে স্থানীয় নেতাদের। যদিও বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাজীবন দীর্ঘায়িত করে, নির্বাচনে লড়তে আইনি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দলে ভাঙন ধরানোর একটি সরকারি তৎপরতা রয়েছে। দলের কিছু নেতাকে নির্বাচনে নিয়ে একতরফা নির্বাচনকে বৈধ ও বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যয়ের খাদে ফেলতে চায় সরকার। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা হচ্ছে নেতাকর্মীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য। একদিকে দলের নেতারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন, অন্যদিকে নিষ্ক্রিয় নেতারা সক্রিয় হচ্ছেন।
পাশাপাশি খালেদা জিয়ার পক্ষে নানা ফোরামে কথা বলছেন ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থি নেতারা। পরোক্ষভাবে নানা কাজে দলের নেতাকর্মীদের সহায়তাও করছেন তারা। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। সরকারের বিরুদ্ধে দুই জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টাও সাহস দিচ্ছে তাদের। অন্যদিকে বহিষ্কারসহ নানা কারণে যেসব নেতা দীর্ঘদিন ধরে দলে কোণঠাসা রয়েছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যাতে তাদেরকে দিয়ে নতুন কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ করতে না পারে সরকার। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে বিএনপিতে ভাঙন ধরানো সহজ হবে না।



 

Show all comments
  • Khandaker Momin ১৪ মার্চ, ২০১৮, ২:৪০ এএম says : 0
    It's a very good news for BNP
    Total Reply(0) Reply
  • md hafizur rahaman ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১১:২৯ এএম says : 0
    inshallah aboshshoi sakolkei ispat kathin aikko thakte hobe
    Total Reply(0) Reply
  • আরীফ মাহমুদ ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩১ পিএম says : 0
    নিষ্ক্রয়রা সষ্ক্রিয় হচ্ছে ভালো কথা.. তবে দালালরা কিন্তু ঠিক হয়নি। ওরা এখনো দালালই রয়ে গেছে। এবং হাজার বছরই থেকে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ বজলুর রাশেদ চৌধুরী ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩১ পিএম says : 0
    Good
    Total Reply(0) Reply
  • মারিয়া ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩২ পিএম says : 0
    good news
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ