Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের

১৫ আগস্ট পান্থপথে বিস্ফোরণ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ১৫ আগস্টের শোক দিবসে জঙ্গিরা মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও-তে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। নব্য জেএমবির আত্মঘাতী দলের সদস্য সাইফুলের পরিকল্পনা ছিল যে কোনও উপায়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের কাছাকাছি গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো। এজন্য বেশ বড় আকারের একটি বোমা তৈরি করে সাইফুলের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় বোমা তৈরির কারিগর এবং অর্থ সরবরাহকারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম- সিটিটিসি ইউনিট। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আট জন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সর্বশেষ মোহাম্মদ তাজুল ওরফে ছোটন নামে এক জঙ্গিকে গত শুক্রবার (১৬ মার্চ) গ্রেফতারের পর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিটিটিসি। সংশিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত বছরের ১৫ আগস্ট সকালে হামলার আগেই সিটিটিসি’র অভিযানে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষে নিজেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয় জঙ্গি সাইফুল। ওই ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।এ মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আমরা এই ঘটনার পুরো রহস্য উদ্ঘাটন করেছি। কারা, কেন এবং কী উদ্দেশ্যে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, তা জানা গেছে। এমনকি কারা অর্থ সরবরাহ করেছিল, তাও জানা গেছে। ইতোমধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা আদালতে চার্জশিটও দিয়ে দেবো।
সিটিটিসি’র একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাবেন, সেসময় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটনোর জন্য সাইফুলকে বলা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই নেতাকর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের কাছাকাছি গিয়ে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ভিআইপি অর্থাৎ মন্ত্রী-এমপিসহ অনেক লোককে হত্যা করা যায়। জঙ্গিদের ধারণা ছিল নেতাকর্মীদের বেশি ভিড়ের কারণে বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি বা পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েও কিছু লোক মারা যেত। সাফল্যের সঙ্গে এটি সম্পন্ন করতে পারলে তাদের নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের পাশাপাশি জঙ্গি দলে আরও বেশি লোকজনকে রিক্রুট করা সম্ভব হতো বলেও প্রত্যাশা ছিল জঙ্গিদের। সিটিটিসি সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে ভয়াবহ এই হামলার পরিকল্পনাটা ছিল আকরাম হোসেন নিলয় নামে এক শীর্ষ জঙ্গির। বুধবার ২১ মার্চ রাতে বগুড়ায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সে। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে নব্য জেএমবির আরেক জঙ্গি সাগর। জানা যায়, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে শীর্ষ জঙ্গি নেতারা নিহত হলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নিলয় নব্য জেএমবির হাল ধরে। মূলত সে-ই আবারও নতুন করে নব্য জেএমবি সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ