Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এই নেদারল্যান্ডস নেই বিশ্বকাপে!

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল
স্পোর্টস ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটন কোনটি? একবাক্যে সবাই আওড়াবেন ইতালির কথা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটিকে দেখা যাবে না রাশিয়ার ফুটবল মহাজজ্ঞে। বিশ্বকাপ জয়ের তকমা না থাকায় নেদারল্যান্ডসের নাম হয়ত অনেকে মুখেই আনবেন না। সেই ‘অনেকের’ জন্যেই ছিল পরশু জেনেভার ম্যাচটি। নেদারল্যান্ডস-পর্তুগালের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচটি যারা দেখেছেন, তাদের আফসস বেড়েছে বৈকি। এমন ফুটবল উপহার দেয়া একটি দলই কিনা নেই বিশ্বকাপে!
অথচ কমলা জার্সিধারী এই দলই গেল ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলেছে সেমিফাইনালে। তারও আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। সব মিলে তিনবারের ফাইনালিস্ট দল তারা। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয়া সেই দলকেও পাচ্ছে না রাশিয়া বিশ্বকাপ।
নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে যেন পুরোনো সেই ফুটবলে ফিরে গেল নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডর কাছে একমাত্র গোলে হেরে গেলেও এবার দুর্দান্ত ফুটবলের পসরা সাজিয়ে পর্তুগালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোম্যানের দল। নেদারল্যান্ডসের হয়ে যা কোম্যানের প্রথম জয়। তিনটি কোলই আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে। একে একে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক উইঙ্গার মেম্ফিস ডিপে, লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড রায়ান বাবেল ও লিভারপুলের ৭৫ মিলিয়ান পাউন্ড ডিফেÐার ভার্জিল ফন ডিক।
তার চেয়ে বড় হিসাব রোনালদোকে দুর্দান্তভাবে আটকে দেয়া। সব প্রতিযোগিতা মিলে নয় ম্যাচ পর কোন গোল পেলেন না রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তিনদিন আগে মিশরের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে করা কার জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানের নাটকীয় জয় পায় পর্তুগাল। অথচ এদিন তিনি ভক্তদের এতটাই হতাশ করেছেন ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন কোচ ফার্নান্ডো সান্তোস। এর সাত মিনিট আগে অবশ্য কাভাকো ক্যানসেলো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় পর্তুগাল। কিন্তু সেই সুযোগ নিতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ছিল পর্তুগালের। প্রতিপক্ষকে শক্ত আক্রমনে কোনঠাসা করে ফেলেন রোনালদোরা। কিন্তু ঘড়ির কাটা দশ মিনিট পেরুতেই ভোজবাজির মত উল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। এরপর আর খুুঁজে পাওয়া যায়নি পর্তুগালকে। দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে একাদশ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন ডিপে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তৃতীয় গোল করে ওখানেই ম্যাচের ইতি টেনে দেন ফন ডিক। এর মাঝে বিদ্যুৎগতির বলে হেড করে ব্যবধান বাড়ান বাবেল। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ম্যাচে মাত্র চারটি গোলমুখে শট নেয়ার সুযোগ পায় কমলা জার্সিধারীরা। এর তিনটিই ছিল সফল।
অন্যদিকে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের জন্য এটা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। শুধু রোনালদোকে তো নয়ই পুরো পর্তুগালকেই মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পর্তুগীজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস বলেন, ‘তারা চারটি সুযোগ পেয়েছে, এর মধ্যে তিনটিই কাজে লাগিয়েছে। এই জয় তাদের প্রাপ্য ছিলো।’ তবে দলের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না সান্তোস, ‘আমার মনে হয়না আমরা আত্মবিশ্বাস হারিয়েছি। এখনো আমার এই খেলোয়াড়দের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।’
ডাচরা এদিন স্বাভাবিক ধারার থেকে বেরিয়ে ৫-৩-২ ফর্মেশনে খেলা শুরু। পর্তুগীজদের জন্য তা বেশ সমস্যা তৈরী করে। সাবেক এভারটন বস কোম্যান বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর যাবত জাতীয় দল যে ফর্মেশনে খেলেছে তার থেকে বেরিয়ে এসে আমরা ভিন্ন একটি ফর্মেটের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছি। শুক্রবারের (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) তুলনায় আজকের ম্যাচের পার্থক্য হলো আমরা আরো বেশী স্বাভাবিক খেলা খেলতে পেরেছি ও দ্রæত গোল পেয়েছি, এতে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নতুন কৌশলে দল স্বাচ্ছন্ধ্য বোধ করছে। ফলাফলও নিজেদের দিকেই এসেছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপে


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ