Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর মহিলা কলেজে অতিরিক্ত জরিমানা বাতিলের দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


জবি সংবাদদাতা : ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জরিমানা বাতিল ও প্রবেশপত্র প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কলেজের ছাত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। এছাড়াও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিপ্লব সাহার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে তাকে অপসারনের দাবি জানান। এসময় সদরঘাট থেকে সুত্রাপুর এলাকায় প্রায় চার ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ১০ ফ্রেবুয়ারি পর্র্যন্ত অতিরিক্ত মডেল টেস্ট নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষার ফি বাবদ আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরীক্ষার নোটিশে পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং কোন বিষয়ে অনুপস্থিত বা উত্তীর্ণ না হলে পাঁচশত টাকা জরিমানার নির্ধারণ করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুধু মাত্র টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে এ পরীক্ষা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এইচএসসি পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলেও তাদের সিলেবাস শেষ না হওয়া এবং অসুস্থতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি। এছাড়া যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলেও মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানো হয়। এমতাস্থায় জরিমানা না দেওয়ার কারণে আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমত ডাকাতি করে আমাদের কাছে টাকা আদায় করছে। টেস্ট পরীক্ষা এবং রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রত্যেকের কাছে সাড়ে সাত হাজার টাকা আদায় করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরেও অন্যান্য কলেজে অতিরিক্ত মডেল টেস্ট না নিলেও আমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষার আদতে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের প্রতিমাসে কলেজের বেতন বাবদ পাঁচশত এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাস বাবদ আড়াইশ টাকা নিলেও প্রতিটি প্রাকটিক্যাল ক্লাসের আগে অতিরিক্ত একশ থেকে দেড়শ টাকা নেয়া হয়। এমনকি প্রাকটিক্যাল ক্লাসে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অংশগ্রহন করলেও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম দর্জির কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে প্রাকটিক্যাল খাতায় স্বাক্ষর না করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পরীক্ষার এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও এ পর্যন্ত আইসিটি বিষয়ের প্রাকটিক্যাল ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিপ্লব সাহাকে অপসারনের দাবি জানান। তাদের অভিযোগ বিপ্লব সাহা ক্লাস পরীক্ষার সময় অকারনে ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল,অশালীন আচরণ এমনকি বিভিন্ন সময় গায়ে হাত দেন।
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। যারা জরীমানা মওকুফের আবেদন করবেন তাদের জরিমানা মওকুফ করা হবে। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিপ্লব সাহার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ