Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা - আদমদীঘির সজনে যাচ্ছে ঢাকাসহ অন্য জেলায়

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা

আদমদীঘিসহ আশপাশ এলাকায় সজনে ডাটার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলার শহর বন্দর, গ্রামগঞ্জে সবখানে গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে সজনে ডাটা ধরেছে। বাজারে আমদানি ও বেড়েছে দিগুণ। স্থানীয় হাটবাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে রাত দিন শত শত মন সজনে ডাটা আমদানি হচ্ছে। চাহিদা বেরে যাওয়ায় দাম গত বারের চেয়ে এবার একটু বেশি। বর্তমান হাটে বাজারে প্রতিমন সজনে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ষোলশ’ থেকে দুই হাজার টাকায়। উপজেলার কায়েত পাড়া গ্রামের ছাহের আলী চারটি গাছ থেকে ২০ মণ সজনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। উপর পোওতা গ্রামের করিম, কোরবা আলী, ও আব্দুল জব্বার ২০ হাজার করে সজনে বিক্রি করেছ। এছাড়াও সান্তাহার শহর এবং আশপাশ এলাকার অনেকে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে দিয়ে ও অতিরিক্ত সজনে বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশি হওয়ায় যে কোন বয়সের মানুষ সজনে খেতে ভালবাসেন। চিকিৎসকদের মতে সজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ঔষধী ৃৃসবজি হিসাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্তামাশায় পেটের পীড়া ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির এদের মধ্যে এক প্রজাতির বছরে তিন থেকে চারবার পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন। সজনে গাছ যে কোন পতিত জমি, পুকুর পাড় রাস্তার বা বাঁধের আবীর আঙ্গিনা এমনকি শহর বন্দরের যে কোন ফাঁকা জায়গায় লাগানো যায়। এর কোন বীজ বা চারার প্রয়োজন হয় না। গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই সজনে গাছ জম্মায়। সজনে গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।অযন্তে অবহেলায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে গাছ। বড় ও মাঝারি ধরনের একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া যায়। বিনা খরছে অধিক আয় পাওয়ায় অনিকেই ব্যাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিষেশ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পিিন ও আবহাওয়া সজনে চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায এই উপজেলায় ও এর আশে পাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমানে সজনে উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে সজনে চাষে উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া রয়েছে। এখানে ব্যাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম, কাঠার লিচু বাগানের মত এখন সজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা - আদমদীঘির সজনে যাচ্ছে ঢাকাসহ অন্য জেলায়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ