Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানবিজ না ছাড়লে অভিযান : তুরস্ক

তুরস্ক-কুর্দি বিরোধ নিষ্পত্তিতে দূতিয়ালির প্রস্তাব ফ্রান্সের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরিয়ার মানবিজ শহর থেকে কুর্দি বাহিনী সরে না গেলে সেখানে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বা এমজিকে এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসীরা যদি মানবিজ শহর অবিলম্বে ত্যাগ না করে তাহলে অন্যান্য শহরের মতোই সেখানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে তুরস্ক কোনোরকম দ্বিধা করবে না। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, ইউফ্রেটিসের পূর্ব অংশে তৎপর সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বিবৃতিতে কাউন্সিল আশা করেছে যে ইরাক সরকার দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে সিনজার ও কানদিল এলাকায় পিকেকে গেরিলাদের তৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী গত ২৪ মার্চ জানিয়েছিল যে তারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকাগুলোতে তৎপর মার্কিন মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর দেশটির আফরিন শহরেও ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন তুরস্ক সিরিয়ার মানবিজে অভিযান চালানোর হুমকি দিল। অপর এক খবরে বলা হয়, উত্তরাঞ্চলীয় সিরিয়ায় কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুরস্কের চলমান সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখতে চায় ফ্রান্স। দুই পক্ষের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তিতে দূতিয়ালির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। আইএসবিরোধী যুদ্ধে কুর্দিদের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর থেকে এ কথা জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল দুই কুর্দি সংগঠন পিওয়াইডি (ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি) ও ওয়াইপিজি (গেরিলা সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ইউনিট)। আইএসবিরোধী যুদ্ধে সংগঠন দুটিকে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স-এসডিএফ নামে ডাকে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যাখোঁ আইএসবিরোধী যুদ্ধে এসডিএফ-এর আত্মত্যাগ আর দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। ফ্রান্স সামপ্রতিক বছরগুলোতে আইএসের ধারাবাহিক হামলার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে আইএসের হামলায় প্রাণহানি হয় ১৩০ জনের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওয়াইপিজিকে হটানোর লক্ষ্যে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আফরিনে সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক ও এফএসএ। গত ২০ জানুয়ারি ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে শুরু হওয়া অভিযানে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৮ মার্চ রবিবার কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয় এফএসএ। রবিবার সকালেও উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসডিএফকে সহায়তার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষুব্ধ তুরস্ক। ন্যাটোভুক্ত এই দুই মিত্র দেশের মধ্যে এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে। ফ্রান্স এবার বিরোধী দুইপক্ষ তুরস্ক ও কুর্দিদের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নিলো। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের সঙ্গে দেখা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ। সেখানে তিনি সক্রিয় কুর্দি গেরিলাদের সংগঠন ওয়াইপিজে’র প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন। আনাদোলু, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ