Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জ্বালানিতে তুরস্কের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার নিদর্শন : এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের দক্ষিণের প্রদেশ মারসিনে দেশটির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আকুইয়ুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সঙ্গে পুতিন ২০ বিলিয়ন ডলারের এ নির্মাণ কাজের সূচনা করেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম চার ইউনিটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে; যার প্রতিটি ইউনিটের ধারণক্ষমতা থাকবে এক হাজার দুইশ মেগাওয়াট। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে পুতিন ও এরদোয়ান আকুইয়ুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরদোগান বলেন, যখন চারটি ইউনিটই চালু হয়ে যাবে, তখন এই প্ল্যান্ট তুরস্কের মোট জ্বালানি চাহিদার ১০ শতাংশ সরবরাহ করবে। ২০১০ সালে এটি নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। দেরি হওয়া সত্তে¡ও ২০২৩ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার একশ বছর ও জ্বালানি খাতে নির্ভরতা কমিয়ে আঙ্কারার স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার নিদর্শনস্বরূপ এরদোগানের ‘ভিশন-২০২৩’ এর অংশ হিসেবে ওই বছরই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করার পরিকল্পনা ছিল। পরে পুতিনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান জানান, চার হাজার আটশ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের মোট খরচ ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশিও হতে পারে। গত মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ২০২৩ সালের মধ্যে আকুইয়ু থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও রোসাটম বলছে, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫১ শতাংশের মালিকানা থাকবে রোসাটমের হাতে, ৪৯ শতাংশের মালিক হবে তুর্কি কোনো প্রতিষ্ঠান। যদিও এখন পর্যন্ত স্থানীয় কোনো অংশীদার পাওয়া যায়নি। রোসাটমের প্রধান নির্বাহীর বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রির কার্যক্রম ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। আঙ্কারায় মস্কোর সরবরাহ করা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিরক্ষা প্রকল্পেও তুরস্ক রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এরদোগান। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি তিনি। গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করে। ন্যাটোর সামরিক কৌশলের সঙ্গে অসামঞ্জস্য আঙ্কারার এ পদক্ষেপ পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। সিরিয়া বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় একটি সম্মেলনে অংশ নিতে চলতি সপ্তাহে আঙ্কারা সফর করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিরও উপস্থিত থাকার কথা। আনাদোলু, আরটি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Hasan Mamun ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:০৮ এএম says : 0
    Go ahead great leader
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ