Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজবাড়ীতে টার্কি পালনে লাভবান খামারি

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে মোঃ নজরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীতে দিনদিন বাড়ছে টার্কি মুরগি পালন। স্বল্প খরচে অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় বেকার যুব সমাজ ঝুকছে টার্কির খামার ব্যাবসায়। বয়লার বা লেয়ার যাই বলুন না কেন টার্কিতে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে বয়লার লেয়ার মুরগি খামার বাদ দিয়ে তৈরি করছে টার্কি মুরগি খামার। খামারীরা মনে করছে টার্কি মুরগি যেভাবে অল্প সময়ে বৃদ্ধি পায় এতে বেকার সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি দেশের মাংসের চাহিদার যোগান দিবে। আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছে টার্কি চাষে দেয়া হচ্ছে সব রকমের সহায়তা।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা গ্রামের সোহরাব মেম্বার ৬ মাস আগে মাত্র ৪০ টি টার্কি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন। ৩ মাস পড়ে বিক্রি করে লাভবান হন তিনি। এখন তার খামারে মুরগি রয়েছে সাড়ে তিন শত যার ৫০ টি মুরগি ডিম দিচ্ছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি করছেন ১ হাজার থেকে বার শত টাকায়। এছারাও প্রতিটি মুরগি ওজন হয়েছে ৮ থেকে ১০ কেজি যার বাজার মুল্য ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সোহরাব মেম্বারের সফলতা দেখেন আশে পাশের বেকার যুবকরা গড়ে তুলছেন টার্কি মুরগির খামার।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা এলাকার কুদ্দস আলম, করতেন সাংবাদিকতা, হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ইন্টারন্টে ঘেটে স্বাবলম্বী হওয়ার আশার গত বছরের আগস্ট মাসে মাসে ৮০ টি টার্কি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শুরু করেন খামার। এ কাজে তাকে তার ছেলে ও স্ত্রী সার্বক্ষনিক সহায়তা করে। বর্তমানে তার খামারে ছোটবড় ৫ শত টার্কি মুরগি রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ টি ডিম দিচ্ছে। আর বাচ্চা বিক্রি করছেন জোড়া ১ হাজার ৪ শত টাকা।
কুদ্দস আলম জানান, এক সময় বেকারত্বের হতাশায় ভুগতেন তিনি এখন প্রতিমাসে কমপক্ষে এক লাখ টাকার টার্কি মুরগি বিক্রি করেন এতে তার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকে। কারন টার্কি মুরগিকে ক্রয় করা খাবার খুব কম দিতে হয়। ঘাস এবং লতা পাতা বেশি খেয়ে থাকে এগুলো সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
এলাবাসী জানান, টার্কি মুরগি পালনে ফিড খাদ্য একেবারেই কম লাগে। কাচা সবজি, ফুল কপি, পাতা কপি, ডাটাসহ বিভিন্ন সবজি বেশি খেয়ে থাকে যে কারনে খরচ খুবই কম। এই এলাকায় এক সময় টার্কির খামার ছিল না এখন বেশ কয়েকটি খামার গড়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, টার্কি পালনে একদিকে যেমন বেকারত্ব দুর হচ্ছে অন্য দিকে প্রতিটি টার্কি ৩ মাসে ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের হওয়ায় দেশের মাংসের চাহিদার একটি বড় অংশের যোগান হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, টার্কি পালন এখন একটি লাভজনক ব্যবসা। রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা থেকে টার্কি পালন বিষয়ে জানতে খামারীরা আসছে। যারা আগে থেকে শুরু করেছে তারা এখন খুব খুশি। টার্কি মুরগি পালনে জেলা প্রানি সম্পদ কার্যালয় থেকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রানি সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে জেলায় প্যারেন্ট স্টক ১১ টি, ২১১ টি লেয়ার, ৮৬২ টি বয়লার মুরগি, ০৯ টি হাসের খামার, ১২৫ টি কবুতর খামার, ১৫ টি কোয়েল খামার রয়েছে।

 



 

Show all comments
  • Nasir ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৯ পিএম says : 0
    খামারের নাম্বার দিবেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টার্কি পালন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ