Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিরিয়া ও তুরস্কের জটিল অঙ্ক : মহানবী সা. এর ভবিষ্যদ্বাণী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরিয় মুসলমানদের ওপর গত ৬ বছর ধরে অত্যাচার চলছে। এ যেন মুসলমান মারার মহোৎসব। সিরিয়া সরকার কট্টর শিয়া বাশার বাহিনী যেমন মারছে, তেমনই সন্ত্রাসী হত্যার নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে একাধারে আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, ন্যাটো ও মিত্রশক্তি। ইসরাইলের প্ররোচনায় কুর্দিরাও হত্যাযজ্ঞে শামিল হয়েছে। এখানে লক্ষ্য একটাই। হাদীসে বর্ণিত মহানবী সা. এর সিরিয়া, দামেস্ক, গোতা, ইমাম মাহদী, দাজ্জাল, হযরত ইসা আ. ইত্যাদি সম্পর্কিত সকল ভবিষ্যদ্বাণীর নির্দিষ্ট রক্ত বংশ স্থান ও স্থাপনাগুলো তছনছ করে দেওয়া। যেন আল্লাহর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা (নাউযুবিল্লাহ) উলটপালট করে দেওয়া যায়। মহানবী সা. এর আধ্যাত্মিক ছক এলোমেলো করে দেওয়া যায়। কিন্তু সিরিয়া ও তুরস্কের রহস্যময় ওলী আউলিয়ারা, যাদের দিয়ে আল্লাহ তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাবেন তারা তা সুচারুরূপেই আঞ্জাম দিয়ে চলেছেন। এরবেশী আর বলার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি এক ওলামা মাশায়েখ মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন। পীরে তরীকত আল্লামা আবুল হাবিব নকশবন্দীর সভাপতিত্বে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী খানকায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তাগণ আরও বলেন, ক’দিন আগে শোনা গেল গোতা তুর্কি বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। নির্যাতিত সিরিয়রা বলছে তুর্কি বাহিনী যেন শহর ছেড়ে চলে না যায়। মানবিজ শহরের লোকেরা ফুলের তোড়া নিয়ে তুর্কি বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছে। বলছে, আপনারা এই শহর দখল করে নিন। ৬ বছর যাবত যে শহরবাসী নিজ সরকার ও সেনাবাহিনীর দ্বারা, কথিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা আবার এসব সন্ত্রাসী দমনের নামে গড়ে বিশ্বের সকল শক্তির দ্বারা শুধু অত্যাচারিতই হয়ে এসেছে, তাদের কাছে তুরস্কের সেনাবাহিনী শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিক ছাড়া আর কী। মনে পড়ছে ইতিহাসের সেই দিনটির কথা যেদিন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রা. সিরিয়া দখল করেছিলেন। যুদ্ধনীতি অনুসরণ না করে একটু বেশী অঞ্চল দখল করায় খলীফা ওমর রা. তাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। যখন তিনি ফিরছিলেন তখন সিরিয়াবাসী কেঁদে আকুল। তারা বলছিল, স্বদেশের স্বজাতীয় শাসকদের অত্যাচারে আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আমরা বড় আশা করেছিলাম মদীনার বাহিনী আমাদের দেশ শাসন করবে। আপনারা এসেও ছিলেন। তাহলে এখন আবার ফিরে যাচ্ছেন কেন? দয়া করে আমাদের স্থায়ীভাবে মদীনার শাসন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে যান। আদর্শ কোনোদিন পরাজিত হয় না। দেড় হাজার বছর পর সিরিয়ায় আবার মানুষ শান্তি ও সুবিচার পাওয়ার আশায়, সুশাসন ও মানবতা পাওয়ার আশায় তুরস্কের বাহিনীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। নিজের দেশ তুলে দিতে চাইছে এরদোগানের হাতে।
সভাপতির বক্তৃতায় আল্লামা নকশবন্দী বলেন, শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহ. তার আধ্যাত্মিক কাসিদায় দু’টি লাইন এমন বলেছেন, ‘একসময় ভারতকে ঘিরে ধরবে আফগানিস্তান ও চীন। সাথে থাকবে খোরাসান।’ আমরা জানি না বুযুর্গদের কাশ্ফ ও ইলহাম কখন কীভাবে বাস্তবায়িত হয়। তবে সময় সময় তাদের ইশারা কাটায় কাটায় মিলে যায় বলে মানুষ বিস্মিত হয়। সবচেয়ে বড় কথা হাদীসের ভবিষ্যদ্বাণী। যা মহানবী সা. এর ক্ষেত্রে অমুসলিমরাও বিশ্বাস করে। কারণ, তিনি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে বেশী বিশ্বস্ত, আস্থাভাজন ও পরম সত্যবাদী ব্যক্তিত্ব। ‘সাদিকুল ওয়’াদি আমিন’। ইন্টারনেট সূত্রে পাওয়া আন্তর্জাতিক সমর ও রাজনীতি বিশ্লেষক আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব আবু লুবাবার এক নিবন্ধে দেখা যায়, “একদিকে নানা আঙ্গিকে হাদীসে উল্লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হতে যাচ্ছে। অপরদিকে দাজ্জাল বা ধোঁকা-প্রতারণার বাজার এত গরম যে, শয়তানও অবাক। ভাবছে, আমার চেলারা তো আমার চেয়ে অগ্রসর হয়ে গেছে। দামেষ্ক পৃথিবীর সে শহর, যার দুটি বৈশিষ্ট্য পূর্ব থেকে প্রসিদ্ধ। একটি হলো, যখন থেকে শহরটি নির্মিত হয়েছে তখন থেকে সমানভাবে আবাদ। দ্বিতীয়টি হলো, যখন থেকে আবাদ হয়েছে তখন থেকে আজও পর্যন্ত রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রাচীন মানব সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ধারণ করা এ শহরটির সঙ্গে একটি সবুজ শ্যামল এলাকা রয়েছে, যাকে পূর্ববর্তী ভ‚গোলবিদরা দুনিয়ার চারটি অতি সুন্দর এলাকার একটি গণ্য করেছেন। আজকাল তাবারিয়া হ্রদ যতই শুকিয়ে যাচ্ছে এই জায়গাটিও সবুজ শ্যামলিমা হারিয়ে শুকিয়ে বৃক্ষলতাহীন হয়ে যাচ্ছে। তিনটি জায়গার ব্যাপারে সুস্পষ্ট হাদীস বর্ণিত আছে, শাম, দামেস্ক ও গোতা। শাম একটি দেশ, (বর্তমান সিরিয়া) দামেস্ক হলো রাজধানী আর গোতা হলো একটি জনপদ। শামের ব্যাপারে হাদীস শুনুন, তারপর দামেস্ক ও গোতা সম্পর্কেও হাদীস দেখুন। তিরমিযি শরীফের বর্ণনায় আছে, ‘যখন শামে কোনো কল্যাণ থাকবে না (তা ফাসাদ সৃষ্টিকারী খারাপ লোকদের হাতে ধ্বংস হয়ে যাবে) তখন তোমাদের মধ্যেও কল্যাণ থাকবে না।’ দামেস্ক ও তার আশপাশের এলাকা সম্পর্কে মুসনাদে আহমাদের বর্ণনা শুনুন, ‘অচিরেই তোমাদের জন্য শাম বিজিত হবে, তাতে একটি জায়গা রয়েছে, যাকে গোতা বলা হয়, এই জায়গাটি হবে যুদ্ধের সময় মুসলমানদের উত্তম ঠিকানা।’
মুসলমানরা প্রথম যখন শাম জয় করেন, এ হাদিসটি তখনকার জন্য না আজকের জন্য সেকথা কোনো আলেমই বলতে পারেন না। যেমন গাযওয়ায়ে হিন্দ হয়ে গেছে না হবে তাও বলতে পারেন না। আজ গোটা দামেস্কে এই গোতা-ই হলো আহলে সুন্নত বা সুন্নি মুসলমানের একমাত্র ঠিকানা। শামে কল্যাণ না থাকার বিভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে। উম্মতের মধ্যে আল্লাহর প্রায় সত্তরের মতো বড় বড় ওলী থাকেন, যাদের উপাধি হলো আবদাল। তাঁদের আমলের বরকত ও দোয়া কবুলের উসিলায় উম্মত কল্যাণ লাভ করে, অকল্যাণ থেকে নিরাপদ থাকে। তাদেরকে আবদাল বলার একটি কারণ এটিও যে, তাদের কারও মৃত্যু হলে অন্য কোনো ওলীকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। অথবা এ জন্য বলা হয় যে, তারা নিজেদের মানবিক দুর্বলতা ও ত্রæটি থেকে পূর্ণ মুক্ত হয়ে নতুন অস্তিত্ব লাভ করেন। তাদের প্রকৃতি বদল হয়ে যায়। এরাই আবদাল। এই উম্মত কখনো তাঁদের অস্তিত্বশূন্য হয় না। তন্মধ্যে ৪০ জল শামে এবং বাকি ৩০ জন সারা দুনিয়ায় থাকেন। এখন শাম আহলে সুন্নত মুসলমান থেকে প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে। আল্লাহর প্রাকৃতিক অভিবাসন রীতিতে তাদের অনেকে গোটা ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি শামী মুহাজির (শরণার্থী) অবস্থান করছে তুরস্কে। তা হলে নিশ্চিত করেই বলা যায়, আল্লাহর ওলীগণও (শামের আবদালরা) অধিকাংশ তুরস্কেই রয়েছেন। প্রবল ধারণা হলো, তাঁরা তুরস্কের বড় বড় শহরে যাননি। কারণ, সেসব স্থানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ফিতনা সৃষ্টিকারীরা বিদ্যামান রয়েছে। ধারণা করা যায়, তাঁরা তুরস্কের সীমান্ত শহরগুলোতেই রয়েছেন। যেখানে নিঃস্ব শামী মুহাজিররা (সিরীয় শরণার্থীরা) সংখ্যায় স্থানীয় লোকদেরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ সকল শহরে দীনদার লোকও প্রচুর। দারিদ্র্য সত্তে¡ও এরা মুহাজিরদের খেদমত অনেক বেশি করে। এখানে রজব তাইয়্যিব এরদোগানের সমর্থকও বেশি। কিছু কিছু এলাকার (যেমন আরদুর রুম) শতভাগ লোকই তার জন্য পাগল। এখানকার মাদরাসাগুলোতে রয়েছে গোটা তুরস্কের তুলনায় বেশী সুসংহত শিক্ষাব্যবস্থা। এখানের খানকাগুলোও আবাদ। নকশবন্দী ও শাজলিয়া তরীকা বেশী জনপ্রিয়। শামে যে কল্যাণ ছিল তা-ও তুর্কিরা নিয়ে নিয়েছে। তুর্কি মুসলমানরা শামের মুসলমানদের জন্য আনসার হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমকেও সেসব আনসারের আনসার হতে হবে। নতুবা তাদের মধ্যেও কোনো কল্যাণ থাকবে না।
দেখা যাচ্ছে ইজমির এবং আইদিনের মতো উন্নত ও আধুনিক শহর, সমুদ্র পাড়ে এবং ইউরোপের কাছাকাছি হওয়ার সুবাদে, এমনকি ইউরোপীয় পর্যটকদের প্রভাবে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া সত্তে¡ও মুহাজিরদের পছন্দ করে না। সম্ভবত আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা এমনই। এরা কঠোর ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার কারণে এরদোগানেরও বিরোধী। আর শাম ও তুরস্কের সীমান্ত শহরগুলো দারিদ্র্য সত্তে¡ও মুহাজিরদের খেদমতকে মর্যাদা ও সৌভাগ্য মনে করে। এরদোগানের জন্যও তারা প্রাণোৎসর্গকারী। এই অধম তো সীমান্ত শহরগুলোর অলিতে গলিতে এত ঘুরেছি যে, স্থানীয় লোকেরাও এই এলাকা সম্পর্কে এতটা জানে না যতটা রহস্যভরা আল্লাহওয়ালাদের খোঁজে ঘোরাফেরার কারণে এই অধম জানে।
অপরদিকে প্রতারণার চিত্র দেখুন, বিগত ছয় বছর ধরে সিরিয়ায় যে জুলুম চলছে তার কোনো উপমা নিকট ইতিহাসে মেলে না। এই ছয় বছরের মধ্যে রয়েছে, বর্তমানে বিনা কারণে, নতুন কোনো ঘটনা ছাড়াই গোতাতে নির্বিচারে বোমাবর্ষণের ঘটনা। এটি এমন এক কালো অধ্যায় যার দৃষ্টান্ত এই ছয় বছরের যুদ্ধেও মেলে না। তার এত ছবি এবং সরাসরি ভিডিও দুনিয়াবাসীর নিকট পৌঁছেছে যে, বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে। একে অস্বীকার করা মানে বিবেককে অস্বীকার করা। কিন্তু একটি দল এত পাষাণ হৃদয় ও মানবতাশূন্য যে, কিছু পুরনো ছবি নিজেরা আপলোড করে দিয়ে বলছে, এগুলো তো পুরনো ছবি। যেন মজলুমের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য জরুরি হলো, তাদের ওপর নতুন করে জুলুম হতে হবে। যে যখন ফরিয়াদ করবে তখন তাকে বলা হবে, অতীত জুলুমের জন্য এখন কেন ফরিয়াদ করো? চোরের মাথার চুলে খড় না হলে সে চুলকায় কেন (একটি প্রবাদ)। যার সন্দেহ হয় সে তুরস্কের সীমান্তে গোতার মুহাজিরদের দুরবস্থা দেখে যাক। আর ঈমান থাকলে যার যেভাবে সম্ভব খেদমত করুক, নতুবা নিজের সম্পদ আঁকড়ে পড়ে থাকুক। আজ এই মজলুমদের কাজে না এলে, সেদিন তা দিয়ে কী লাভ হবে যেদিন এ সম্পদ কারও কাজের থাকবে না?
ইরাক তুরস্ক ও সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার জন্য মারাত্মক হুমকি ওই রুশ কমিউনিস্ট ও মিত্রগোষ্ঠির সন্ত্রাসীদের থেকে তুরস্ক যখন আফরীনকে পবিত্র করা শুরু করেছে, তখন থেকে বাশার বাহিনী কমিউনিস্টদের সঙ্গে চুক্তি করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং তাদের সাহায্য লাভের জন্য নিকটতম এলাকা গোতার অবরুদ্ধ মুসলমানদের ওপর বিনা কারণে আক্রমণ শুরু করে। যেন সিরিয়দের একমাত্র হিতাকাক্সক্ষী এবং সিরিয়ায় ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিরোধকারী তুরস্ককে ব্যর্থ করতে পারে।
তুরস্কের পর মজলুম সিরিয়দের সবচেয়ে বড় হিতাকাক্সক্ষী ও সহযোগী হওয়া উচিত আরব বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। কারণ, গাযওয়ায়ে শাম, (শামের যুদ্ধ) ও গাযওয়ায়ে হিন্দ (হিন্দুস্তানের যুুদ্ধ) হবে দুনিয়ার বড় দুটি যুদ্ধ। গাযওয়ায়ে শাম ইহুদীদের বিরুদ্ধে এবং গাওয়ায়ে হিন্দ ইহুদীদের ঐতিহাসিক মিত্র মুশরিকদের বিরুদ্ধে হবে। যতদিন এই দুটি মহাযুদ্ধের মাধ্যমে দুনিয়ায় মহান ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা না হবে। আর যতদিন বিশ্বব্যাপী নবুওয়াতী ধারার বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন কেয়ামত আসবে না।”
আবু লুবাবা আরো বলেন, “গাযওয়ায়ে হিন্দে বিজয়ী হবে এখানের নেককার লোকেরা, উপমহাদেশের প্রায় ৭০ কোটি মুসলমানের মধ্যে কত ভাগ এই ঈমানী অভিযানে যোগ দিবে তা আল্লাহই জানেন। এর কত অংশ মুসলিম আর্মি আর কত অংশ সিভিলিয়ান হয় তা-ও আমাদের জানা নেই। তারপর এই বাহিনী গাযওয়ায়ে শামের বিজয়ীদের সাহায্যে এগিয়ে যাবে। বর্তমানে গাযওয়ায়ে শামের মজলুমদের সবচেয়ে বড় সহযোগী তুরস্ক। আলহামদুলিল্লাহ, তুর্কিদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে উপমহাদেশের হেদায়তপ্রাপ্ত মুসলমানেরা। যার মন চায়, গিয়ে রায়হানিয়াহ থেকে উরুফাহ পর্যন্ত ওইসব দৃশ্য বাস্তবে দেখে নিতে পারে। সৃষ্টিকুলের মহান ¯্রষ্টা যা লিখে রেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। যে মজলুমের সঙ্গে থাকবে তার জন্য সৌভাগ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। যে জালেমের সঙ্গ দিচ্ছে সে চিরহতভাগা। যে না হাদীস থেকে শিক্ষা নেয়, না নিষ্পাপ শিশুদের রক্ত তার অন্তরকে বিগলিত করে।”



 

Show all comments
  • Asad ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২৭ এএম says : 0
    Plan of allah will success.
    Total Reply(0) Reply
  • Afzal ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:১০ এএম says : 0
    You are absolutely right .
    Total Reply(0) Reply
  • Abu ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:১৩ এএম says : 0
    Very nice article. Mashalla. Its very important to stay away from all fitna.
    Total Reply(0) Reply
  • Muinudin ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০৫ পিএম says : 0
    আমার মনে হচ্ছে লেখাটি যথোপযুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন।হে আল্লাহ! তুমি আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দাও।মুসলিম ভাইদের হেফাজত কর।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasim Mahmmud ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৩ পিএম says : 0
    Heartiest congratulations to the Inquilab editor for publishing such a nice, inspiring and solid article.Really happy to read this outstanding article.
    Total Reply(0) Reply
  • Abed Hossain ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৩ পিএম says : 0
    হঠাৎ এত সুন্দর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য ইনকিলাবের সম্পাদকে ধন্যবাদ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Liton Miah ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৪ পিএম says : 0
    ইনকিলাবকে এই লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সময়োপযোগী এই লেখা
    Total Reply(0) Reply
  • Mujahidul Islam Chowdhury ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৮ পিএম says : 0
    Thanks for good news
    Total Reply(0) Reply
  • আকরাম ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৮ পিএম says : 0
    হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখাও
    Total Reply(0) Reply
  • মানিক হায়দার ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:২৯ পিএম says : 0
    সুবহানাল্লাহ
    Total Reply(2) Reply
    • Kaiyum ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২০ এএম says : 4
      Mashalal
    • Kaiyum ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 4
      Good news
  • মোঃ আমিন উদ্দিন ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:০৩ পিএম says : 0
    বাস্তব তথ্য উপাত্ত ও হাদিসের আলোকে লেখা নিবন্ধটি পড়ে বেশ ভালই লাগল।ধন্যবাদ ইনকিলাব
    Total Reply(0) Reply
  • ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৪৭ এএম says : 0
    শাম তূরস্ক সম্পর্কে হাদীছের ভবিষ্বতদ্বানির উপস্থাপনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।মুসলমানদের ঈমানি শক্তি ও সাহসের জন্য এমন উপস্থাপনা অনেক সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mohi Uddin Rashed ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:৫৮ এএম says : 0
    সময় উপযোগী একটি পোষ্ট।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ রকিবুজ্জামান ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৭:৪৪ পিএম says : 0
    আল্লাহ আমাকে ,সিরিয়া,ফিলিস্তিনি বাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদর কে হেফাজত করুন।বিশ্বের সকল প্রান্তে মুসলমানদের জয় হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Arafat ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:৪১ এএম says : 0
    I like it
    Total Reply(0) Reply
  • আতিক ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:৩৯ এএম says : 0
    আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি তিনি মুসলিম উম্মাহ কে মাহফুজ রাখবেন। সিরীয়বাসীর জন্য দোআ করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • মো:ফজলে রাব্বি ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:১১ পিএম says : 0
    সম্মানিত মুফতি,মুহাদ্দীস ও উলামা হযরতগন গাযওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কে হাদীসের ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত লিখলে ভাল হইতো।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad seraj uddin ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৩১ এএম says : 0
    A very nice article. Quiet informative and instructive. Helping the Muslim to revive their lost spirit of real Islam.Everyone should read this attentively.
    Total Reply(0) Reply
  • jobair ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ২:০৩ পিএম says : 0
    Jotokhon porjonto jihad sothik islami bidan moto porichalito na hobe.totokhon porjonto islam bijoye hobe na.karon sathik pothe thakle tobei allah r sahajjo molbe.bijoye korar malik akmatro mohan allah.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ripon ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ২:২০ পিএম says : 0
    ইনকিলাব এর সকল কে ধন্যবাদ...
    Total Reply(1) Reply
    • Md.Masudur Rahman ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২১ পিএম says : 4
      Thanks For News
  • salimuddin ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:৫১ এএম says : 0
    মনের মতো লেখা সিরিয় যুদ্ধের শুরু খেকেই কেন জানি নবিজীর(সাঃ)সিরিয়া ও গাযওয়ায়ে হিন্দ সংক্ রান্ত হাদিস গুলো,এবং শাহ নেয়ামতুল্লাহ কাশ্মীরীর উক্তি গুলো মনের কোনে ঘুরে ফিরে ভেসে উঠতো বারে বারে। আজ আর্টিক্যালটি পড়ে আরো ক্লীয়ার হলাম। এজাতীয় লেখা আরো আসা প্রয়োজন। ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Hassan ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৪১ পিএম says : 0
    Subhanallah ! thanks Inqilab !
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shafiullah ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:০৬ পিএম says : 0
    Nice
    Total Reply(0) Reply
  • Sabiha TasnimMim ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৫৫ এএম says : 0
    Jajakallahu khairan
    Total Reply(0) Reply
  • Zaber ahmed ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম says : 0
    ALLAH amader sahajjo korun r iman o sokti dan korun.
    Total Reply(0) Reply
  • Zaber ahmed ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম says : 0
    ALLAH amader sahajjo korun r iman o sokti dan korun.
    Total Reply(0) Reply
  • Zaber ahmed ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম says : 0
    ALLAH amader sahajjo korun r iman o sokti dan korun.
    Total Reply(0) Reply
  • Md khorshed alam ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:২৫ এএম says : 0
    inshallah I'm opposed to. a traditional
    Total Reply(0) Reply
  • Amam Hossain ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:২২ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ ইনকিলাব কে আমরা আশা করি সবসময় আপনারা সত্য পচারে অটল অনড় অবিচল থাকবেন ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Amam Hossain ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:২৩ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ ইনকিলাব কে আমরা আশা করি সবসময় আপনারা সত্য পচারে অটল অনড় অবিচল থাকবেন ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Mamunur Rashid ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ পিএম says : 0
    ইনকিলাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ এ এরকম একটা চমৎকার লেখার জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মাদ ১৭ জুন, ২০২০, ৯:১১ পিএম says : 0
    ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইত্যাদি যুদ্ধবিধ্বস্ত অসহায় দেশ সমূহের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমেরিকা, ন্যাটো এবং আরব জোটের পাশাপাশি ন্যাটোর দালাল তুরষ্কও দায়ী। তুরষ্কের চামচা বাহিনী ন্যাটোর হুকুমে আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, লিবিয়ার গাদ্দাফী বিরোধী যুদ্ধ, সোমালিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন, প্রভৃতি যুদ্ধে ন্যাটোর পক্ষে দালালী করার জন্য এসব মুসলিম দেশগুলোতে নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে অসংখ্য মুসলমানদেরকে হত্যা করে মুসলিম উম্মাহর সাথে গাদ্দারী করেছে। আর এখন সিরিয়া ও ইরাকের অখন্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেই চলছে। এসব অন্যায় গণহত্যা এবং আগ্রাসনের চরম মাশুল দিতে হবে তুর্কীদেরকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ