জঙ্গি হামলার খবর পেয়েও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি!

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় যখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছিলেন সিআরপি সেনারা, তখনও দেশটির
নেপালের ওপর প্রভাব আরো বিস্তৃত করতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। এবার বিখ্যাত সিংহ দরবার আলোকিত হবে এ বিদ্যুতে। এটিই নেপাল সরকারের প্রধান প্রশাসনিক ভবন কমপ্লেক্স। প্রধানমন্ত্রীর অফিসও এখানে অবস্থিত।
নেপালের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে নেপালে ৩২ হাজার সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দান করে চীন। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাদের সুবিধার্থেই চীন এ উদ্যোগ নেয়। চীনা সহায়তাপুষ্ট সোলার ফটোভোলটাইক প্রজেক্টের আওতায় সোলার প্যানেলগুলো সিংহ দরবারের ২১টি ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে। শেষ হতে সময় লাগে ১৪ মাস। মঙ্গলবার থেকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক অফিসগুলো আলোকিত করতে সোনাল প্যানেলগুলোর মাধ্যমে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি এবং নেপালে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়ু হঙ যৌথভাবে তা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অলি জোর দিয়ে বলেন, নেপালের মতো পার্বত্য দেশে সৌর প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ও বড় শিল্প স্থাপন, কৃষির আধুনিকায়নেও এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, জ্বালানি প্রয়োজন মেটানোর জন্য নেপাল ঐতিহ্যবাহী বিদ্যুৎ উৎসের ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের পানিসম্পদ থাকলেও সেটির ওপরই কেবল নির্ভর করে থাকলে বিপুল মূল্য দিতে হবে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সোলার ফটোভোলটাইক প্রকল্প নির্মাণের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানাই। এটি অন্যান্য এলাকার জন্য মডেল প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে। প্রায় ৬০০ মিলিয়ন রুপির এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অলি বলেন, অন্যান্য এলাকায় এ ধরনের কর্মসূচি স¤প্রসারিত হলে তা দেশের উন্নয়ন গতিশীল করবে। নেপালের মতো ভৌগোলিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে সৌর জ্বালানি খুবই প্রয়োজনীয়। এ ধরনের প্রকল্প নেপাল-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। চীন ও নেপাল কানেকটিভিটি জোরদার করার জন্য তিব্বত দিয়ে আন্তঃসীমান্ত রেলওয়ে নির্মাণ নিয়েও কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও চীনের উচ্চাভিলাষী ‘বর্ডার অ্যান্ড রোডস ইনিশিয়েটিভের’ অংশেও পরিণত হয়েছে নেপাল।
চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, চীন ও নেপালর মধ্যকার সহযোগিতা হলো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলো এরই সর্বশেষ উদাহরণ। তিনি বলেন, আমি আশা করব, এ প্রকল্প নেপালের জ্বালানি সরবরাহ চ্যানেল সরবরাহের মডেলে পরিণত হবে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।